ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টার আগেই বর্জ্য অপসারণে আতিকুলের দৃষ্টান্ত 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ২ আগস্ট ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৯:০৪ পিএম, ২ আগস্ট ২০২০ রবিবার

কোরবানির প্রথম দিন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এম সাইদুর রহমান আজ দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় একথা জানান।

তিনি বলেন, ডিএনসিসি এবার ২৫৬টি পশু জবাইর স্থান নির্ধারণ করা করেছিল। নির্ধারিত স্থানে গত বছরের তুলনায় এবার পশু জবাই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের থেকে বিভিন্ন সুবিধাদি বিশেষ করে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে পূর্বের তুলনায় অনেকে উসাহিত হয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিয়েছে। তবে আগামী বছর প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী গাবতলীতে একটি অত্যাধুনিক স্লটার হাউস নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, ডিএনসিসি’র পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং পিডব্লিউসিএসপি’র কর্মীরা পশু জবাইয়ের স্থান এবং বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএস এবং কন্টেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছে।

গতকাল বিকাল ৫টা থেকে রাত্র ১০ টার মধ্যে ওয়ার্ড নং ৩১, ২৭, ০৮, ০১, ১৭, ১৯, ২০, ২৮, ২৯, ৩০, ৩২, ৩৩, ০৯, ১০, ১১, ৩৯, ৪০, ৪১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ এর সম্মানিত কাউন্সিলররা তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্য মুক্ত ঘোষণা করেছেন। এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্য মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসটিএস এবং নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব ২ হাজার ৬৬৭ জন পরিচ্ছন্নকর্মী এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনাসহ সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে বর্জ্য মুক্ত করেছেন। সকল স্তরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজে জড়িত ছিলেন। সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে তিনি মেয়রের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

কমডোর এম সাইদুর রহমান বলেন, এ বছর কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারকিতে পরিলক্ষিত হয় যে অনলাইন ডিজিটাল পশু বেচাকেনা ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে; জনগণ আগের চেয়ে সচেতন ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন ; বর্জ্য ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার এবং স্যাভলন ব্যবহার বেড়েছে।

তিনি বলেন, একটি বিশেষ অ্যাপস তৈরি করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মনিটরিং করা হয়েছে। এবার ডিএনসিসি’র সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে; তবে অনেকেই ডিএনসিসি’র নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার উপর কোরবানি করেছেন যা অপ্রত্যাশিত ছিল। আগামী কোরবানিতে রাস্তার উপর পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, কোরবানির পশুর বর্জ্য আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে ভাটারা সাইদ নগরে কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেছিলেন।

আরকে//