ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

করোনায় মারা গেলেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব বরকত উল্লাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৪:০৫ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২০ সোমবার

বাংলাদেশ টেলিভিশনের খ্যাতিমান প্রযোজক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ আর নেই। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে আজ সোমবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি নন্দিত অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ’র বাবা। তার স্ত্রী নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকত উল্লাহ। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় প্রযোজক মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ ও জিনাতের পরিবারে বিজরী ছাড়াও আরেক সন্তান কাজরী রয়েছেন।

হুমায়ুন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের প্রযোজক ছিলেন বরকতউল্লাহ। এই নাটকটিতে বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। নাটকে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি ঠেকাতে রাজপথে আন্দোলন করেছিল সাধারণ মানুষ। তখন নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে প্রযোজক বরকতউল্লাহর বিরুদ্ধেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া ‘ঢাকায় থাকি ও সকাল সন্ধ্যা’ নাটকও প্রযোজনা করেছিলেন মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ। তিনি দীর্ঘদিন বিটিভি ছাড়াও চ্যানেল ওয়ান, বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্তের পর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহকে রোববার রাতে গ্রীনলাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে সে সময় ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মেয়ে বিজরী লেখেন, ‘আমার বাবাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন। উনার করোনা ধরা পড়েছে। সবার দোয়া চাই।’

এরপর সোমবার সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই কিংবদন্তি প্রযোজকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘বরকত আংকেল সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। অনেক প্রার্থনা। একটুপর মিরপুর নিয়ে যাওয়া হবে এই গুণী মানুষকে।’

এদিকে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফা তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘খ্যাতিমান নির্মাতা ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব বরকত উল্লাহ ভাই মারা গেছেন।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই রাতে অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ তার মা নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতুল্লাহর করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর জানান। তাকেও রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

মাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী বিজরী। ওই সময় তিনি জানান, মায়ের জন্য বি পজিটিভ প্লাজমা খুঁজেছেন তিনি। বেশ কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচিতদের অনুরোধ করেছেন।

এ নিয়ে বিজরী আরো বলেন, ‘এতটা অসহায় আগে কখনো লাগেনি। কী করব ভেবে পাচ্ছি না। যত দ্রুত সম্ভব আমার মায়ের জন্য প্লাজমা প্রয়োজন। এই সময় কেউ সাহায্য করলে কৃতজ্ঞ থাকব।’ 

কিন্তু তার বাবার অবস্থা সম্পর্কে তখনও কিছু জানান নি তিনি। এরই মধ্যে বাবা হারালেন অভিনেত্রী।
এসএ/