ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা বেনাপোলে 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২০ সোমবার

ভারতে চামড়া পাচাররোধে বেনাপোল সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নজরদারিতে আনা হয়েছে বন্দর এলাকাসহ স্থল ও রেলপথ। সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ থেকে ৪০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে দাম ২৮ থেকে ৩২ টাকা। অপরদিকে, ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ -১৫ টাকা প্রতি বর্গফুট।

গত বছর চামড়ার দাম আরো বেশি ছিল। ভারতে চামড়ার দাম বরাবরই বেশি। সেই কারণে সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের প্রবণতা রয়েছে।

এবার ঈদে চামড়ার দাম নেই বললেই চলে। এক একটি চামড়া ২০/৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকে সড়কে ফেলে চলে গেছেন। এ সুযোগে একটি মহল চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে মজুদ করে রেখেছে। সময় সুযোগ পেলে তা ভারতে পাচার করার চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেনাপোল ও শার্শার পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, খুচরা ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে আরও কম দামে চামড়া কিনে মজুদ করে রাখছেন। তারা স্থানীয় বাজারে চামড়া না তুলে নিজস্ব কায়দায় তা সংরক্ষণ করছেন। দেশের বাজারে দাম কম হওয়ায় এই চামড়া বাংলাদেশে রাখা সম্ভব হবে কী-না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।

চামড়া ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত। প্রতিবেশী দেশের পশুর চামড়া তুলনামূলক নিম্নমানের হওয়ায় এ দেশিয় চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতে।

চোরাকারবারিরা প্রতিবেশী দেশে চামড়া পাচার করে ওই অর্থ দিয়ে ভারত থেকে অন্যান্য মালামাল কিনে আনার চেষ্টায় থাকে। কুরবানি ঈদের সময় পশুর চামড়ার দাম বাস্তব সম্মতভাবে নির্ধারণ করা হলে পাচারের প্রবণতা কমে। পাশাপাশি স্বস্তিতে থাকেন ব্যবসায়ীরাও।

খুলনা ২১ ও যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মুনজুর এলাহী ও লে. কর্নেল সেলিম রেজা এ প্রতিবেদককে জানান, 'সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে কড়া নজরদারি রয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। যাতে কেউ অবৈধভাবে ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলো চিহ্নিত করে টহল ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।'
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানান ওই কর্মকর্তারা।

এআই/আরকে