ব্রাজিলে মৃত্যু ৯৭ হাজার, শনাক্ত আরও অর্ধলক্ষাধিক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৩ এএম, ৬ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার
ব্রাজিলে নতুন করে হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৯৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্ত হয়েছে আরও অর্ধলক্ষেরও বেশি। ফলে, করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে ২৮ লাখ পেরিয়েছে। তবে, আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩২২ জনের প্রাণ ঝরেছে করোনায়। এতে করে প্রাণহানি বেড়ে ৯৭ হাজার ৪১৮ জনে ঠেকেছে। নতুন করে ৫৪ হাজার ৬৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৮ লাখ ৬২ হাজার ৭৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।
আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। শুধু ব্রাজিলই নয়, করেনার ভয়াবহ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বে তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে।
এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে, সংকটাবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিনত হয়েছে দেশটি। একইসঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় পেরু, চিলি ও কলম্বিয়ার মতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
সংক্রমণের হারে আটে থাকা পেরুতে আক্রান্ত ৪ লাখ ৪৮ হাজারের কাছাকাছি। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ২২৮ জন মানুষের।
এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতেও সংক্রমণ ৩ লাখ ৬৫ হাজারের ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে ৯ হাজার ৭৯২ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ প্রায় ৪৬ হাজার রোগী। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৬২৪ জনের।
আর্জেন্টিায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লাখ ২১ হাজার হতে চলেছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১০৬ জনের।
এআই/এসএ/