ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

খ্যাতনামা লেখিকা সাদিয়া দেহলভি আর নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার

ভারতের খ্যাতনামা লেখক, সংগঠক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাদিয়া দেহলভি আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। বেশ কয়েক বছর ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে লেখিকা হাসপাতালে ভর্তি হন।

সাদিয়া দেহলভি বুধবার দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। লেখিকার ছেলে আরমান আলী দেহলভির বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

১৯৫৭ সালে সাদিয়ার জন্ম রাজকীয় শামা পরিবারে। তিনি উর্দু ভাষার নারী সাময়িকী ‘বানু’ সম্পাদনা করতেন। তার দাদা হাফিজ ইউসুফ ১৯৩৮ সালে পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন। উর্দু চলচ্চিত্র ও সাহিত্যের ওপর বিখ্যাত পত্রিকাটি প্রকাশ হতো।

সুফিবাদ নিয়ে গবেষণা ও চর্চায় সাদিয়া দেহলভি পরিচিত ছিলেন। এ বিষয়ে প্রকাশ করেন দুই বই ‘সুফিজম : দ্য হার্ট অব ইসলাম’ (২০০৯) ও ‘দ্য সুফি কোর্টইয়ার্ড: দরগাহ অব দিল্লি’ (২০১২) ।

তিনি রন্ধন বিশেষজ্ঞ হিসেবেও খ্যাতিমান ছিলেন। ২০১৭ সালে প্রকাশ করেন দিল্লির রন্ধন ইতিহাস নিয়ে বই ‘জেসমিন অ্যান্ড জিনস: মেমোরিজ অ্যান্ড রেসিপিস অব মাই দিল্লি’। দিল্লির প্রথম রোডসাইড কাবাব হাউস ‘আল কাউসার’-এর প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।

প্রামাণ্যচিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য করেছেন সাদিয়া। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৫ সালের ‘আম্মা অ্যান্ড ফ্যামিলি’, এ সিরিজে অভিনয় করেন বিখ্যাত অভিনেত্রী জোহরা সেহগাল। সাদিয়াকে দেখা যায় ছোট একটি চরিত্রে।

সাদিয়া দেহলভি ছিলেন আরেক বরেণ্য লেখক প্রয়াত খুশবন্ত সিং-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।  সাদিয়াকে ‘নট আ নাইস ম্যান টু নো’ উৎসর্গ করেন তিনি। এ ছাড়া খুশবন্তের লেখা ‘মেন অ্যান্ড ওমেন ইন মাই লাইফ’-এর প্রচ্ছদে ব্যবহার করা হয়েছে লেখিকার ছবি, বইয়ের একটি অধ্যায় তাকে নিয়েই।

১৯৯০ সালে পাকিস্তানি রেজা পারভেজের সঙ্গে বিয়ে হয় সাদিয়া দেহলভির। ওই সময় তিনি করাচি থাকতে শুরু করেন। তাদের এক সন্তান আরমান আলী দেহলভি। ২০১২ সালে প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর বিয়ে করেন সৈয়দ কারামাত আলীকে।

দিল্লির অতিপরিচিত এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুকে ‘ট্র্যাজিক’ বলে উল্লেখ করেন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব। টুইট বার্তায় প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি।
এসএ/