সিনহা হত্যা মামলায় তিন পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৭ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫৯ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার
টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ দাশকে আদালতের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- সংগৃহীত
সাবেক সেনা কর্মকর্তা (মেজর) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় তিনজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্ট লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত। তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। কারাগারে পাঠানো বাকি চার আসামীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে কক্সবাজারের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন’র (র্যাব-১৫) কমান্ডার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজিম আহমেদ পলাতক দুইজন বাদে বাকি ৭ আসামীদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।
এ মামলায় আত্মসমর্পণ করা বাকি চার আসামী কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএসআই লিটন মিয়াকে দুই দিন জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি দুই আসামি এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা এখনও পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সকলকে আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর মামলার দ্বিতীয় আসামী টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলে গাড়ি নিয়ে এলে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেখান থেকে তাকে নিয়ে দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। বিকাল ৫টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব:) সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে এজাহারের ধারা অনুযায়ী হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি রেকর্ড করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবগত করার আদেশও দেন আদালত। মামলা রেকর্ডের পর কক্সবাজার র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার আজিম আহমেদকে তদন্ত করার নির্দেশও দেন আদালত।
এমএস/এসি