ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

আট বছরেও সুফল মেলেনি সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৬ সোমবার

আট বছরেও তেমন সুফল মেলেনি সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির। শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রশিক্ষণ পেলেও, খুব একটা দক্ষতা বাড়েনি শিক্ষকদের। তাই একদিকে যেমন প্রশিক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে, তেমনি রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর তদারকির অভাব। ওদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ চলছে। রাজধানীর একটি স্কুলে অস্টম শ্রেণীতে পড়ছে দ্বীপ। অন্য স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ছে নন্দিনী। সৃজনশীল পদ্ধতিতে তারা পড়ছে ঠিকই, কিন্তু, বুঝতে পারছে না অনেক কিছুই। এই বুঝে না ওঠার পেছনে কি কারণ, তা-ও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে। শুধু রাজধানী নয়, এমন হতাশার মাঝে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীও। ক্লাসের পড়াটা না বুঝতে পেরে অনেককেই যেতে হচ্ছে কোচিংয়ে। কিন্তু, সেখানেও কি মিলছে সমাধান ? দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে মাধ্যমিক স্তরে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয় ২০০৮ সালে। ২০১০ সালে বাংলা এবং ধর্ম বিষয়ে এ পদ্ধতিতে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়। গত ৪ বছরের এসএসসি’র ফলাফলের সমীকরন বলছে, শিক্ষার মান কমেছে অনেকখানি। গেল ৪ বছরে এসএসসি পরীক্ষার ফল- ২০১৫ সালের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। ২০১৪ সালের পরীক্ষায় গড় পাশের হার ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ২০১৩  সালের পরীক্ষায় গড় পাশের হার ৮৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০১২ সালের পরীক্ষায় গড় পাশের হার ৮৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।) সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের জরিপে উঠে এসেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৪ ভাগ শিক্ষক এখনও আয়ত্ত করতে পারেননি সৃজনশীল পদ্ধতি। যার মধ্যে ২২ শতাংশের অবস্থা চরম নাজুক। খোদ শিক্ষকরাও এ কাজে নিজেদের প্রশিক্ষনের ঘাটতিকেই দায়ী করছেন। শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এরিমধ্যে স্কুল-কলেজ মিলিয়ে ১ লক্ষাধিক শিক্ষককে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে; তবে শেখার ক্ষেত্রে অগ্রহ কম রয়েছে তাদের। এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশিক্ষন দেয়া হলেও, তদারকি কমই হচ্ছে। তবে সুবিধা অসুবিধা যাই থাকুক, শিক্ষার্থীরা যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেদিকে নজর দেয়ার দাবি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবার।