ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চীনে বুনিয়া ভাইরাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ৭ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার

একদিকে করোনার প্রাদূর্ভাবে অস্থির পুরো বিশ্ব। এর মধ্যেই আবার আরও এক সংক্রামক ভাইরাসের দেখা মিলেছে। এটাও দেখা মিলল চীনে। ইতোমধ্যেই এই রোগ ছড়িয়েছে অনেকের শরীরে। জানা যায়, এই ভাইরাসে মৃত এক ব্যক্তির শরীর থেকে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। কলকাতা ৭/২৪ ঘণ্টা’র। 

চলতি বছরে অন্তত ৩৭ জনের শরীরে ধরা পড়েছে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম। যার উপসর্গ প্রবল জ্বর। এই রোগের কারণ হল নভেল বুনিয়া ভাইরাস। এঁটেল পোকা থেকে এ ধরণের ভাইরাস ছড়াচ্ছে জানা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এই ভাইরাস ছোঁয়াচে বা সংক্রামক অর্থাৎ এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাস সূত্রপাত হয় ঐ পোকার কামড়েই।

এই জীবাণুর নাম এসএফটিএস ভাইরাস। পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের ৩৭ জনের বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আনহুই প্রদেশেও সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ জন। এই রোগের লক্ষণ জ্বর, কাশি, রক্তের প্লেটলেট কমে যাওয়া। আনহুই ও ঝেইজাং প্রদেশে অন্তত ৭ জন এতে প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে জানা যাচ্ছে, এসএফটিএস ভাইরাস নতুন কোনও জীবাণু নয়। ২০১১ সালেই চীনা বিজ্ঞানীরা এর প্যাথোজেন আলাদা করতে সক্ষম হন। এটি বুনিয়াভাইরাস ক্যাটাগরির অন্তর্গত। রক্ত বা শ্লেষ্মার মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এঁটুলি পোকার কামড় এই রোগের প্রধান কারণ। তবে মানুষ যদি সাবধানে থাকেন তবে এই জীবাণু সংক্রমণ নিয়ে খুব বেশি আতঙ্কের কারণ নেই। ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিনের এক বিশেষজ্ঞ শেং জিফাং জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে ভাইরাসে আক্রান্ত হন ঐ ব্যক্তি। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু হয়। মারাত্মক ইনফেকশনে তাঁর শরীর থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। আর তা থেকেই সংক্রামিত হন ১৬ জন। এদের মধ্যেও একজনের মৃত্যু হয়।

সাধারণত গাছে, ঘাসে বা পাতায় থাকে এই এঁটেল পোকা। বাড়িতে পোষা কুকুর বা বিড়ালের শরীরেও দেখা যায় এই পোকা। যদিই এমনিতে এই পোকা কামড়ালে কোনও সমস্যা হয় না। তবে যদি এদের শরীরে ভাইরাস থাকে তাহলে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরিবার পরিজনকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে ঘন জঙ্গলের মত জায়গায় না যাওয়াই ভালো। বিশেষত গরম কালে এদের প্রকোপ বাড়ে। এই ভাইরাসেও বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। এর কোনও ভ্যাক্সিন বা ওষুধ নেই।

এমএস/