ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় কেন ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৫:৫৪ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২০ শনিবার

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর ঘ্রাণশক্তি কমে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে আংশিক পরিমানে হ্রাস পেলেও কারো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ হারিয়ে যেতে পারে।  যাই হোক না কেন এক সময় ঘ্রাণশক্তি ফিরে আসেই তবে কারো ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগতেও পারে। তবে যে প্রক্রিয়ায় এই ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পাচ্ছে কিংবা ঘ্রাণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাতে চিরতরে ঘ্রাণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা কম।

গবেষণায় দেখা গেছে করোনা রোগীদের ঘ্রাণ গ্রহণের শারীরিক প্রক্রিয়াটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই বিষয়ে হার্ভার্ড মেডিক্যাল কলেজের একদল গবেষক বলেছেন,  সংবেদনশীল যে নিউরন গন্ধ অনুভব করতে মস্তিষ্ককে সহায়তা করে সেটিকে করোনা ভাইরাস ধীরে ধীরে অসাড় করার কাজ করে। ফলে নাক দিয়ে ঘ্রাণ ভেতরে প্রবেশ করলেও আগের মতো সেটি অনুভব করতে পারে না।

তবে গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, করোনাভাইরাসের দ্বারা স্থায়ীভাবে সরাসরি সংবেদনশীল নিউরনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মূলত যে উপাদানটি নিউরনকে ঘ্রাণ অনুভব করতে সহায়তা করে, সেগুলো বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই উপাদানগুলো আবার নিজ থেকেই নিজেদের সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। একদম শুরু থেকে ঘ্রাণশক্তি গ্রহণের প্রক্রিয়া মেরামত করার দরকার পড়ে না শরীরযন্ত্রকে।

গবেষকরা বলেন, বেশির ভাগ রোগী এক মাসের মধ্যে তাদের ঘ্রাণশক্তি পুরোপুরি ফিরে পায়। ক্ষেত্রবিশেষে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর শারীরিক অন্যান্য দুর্বলতার কারণেও ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। গবেষণা প্রতিবেদনটি সায়েন্স অ্যাডভান্সস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউরোবায়োলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্দীপ রবার্ট ও তার সহকর্মীরা ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত কয়েক শ রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণা শেষে, এই গবেষণাটির সিনিয়র লেখক নিউরোবায়োলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্দীপ রবার্ট লিখেছেন, সে মনে করেন এটি সুসংবাদ যে করোনার মতো জটিল ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর সংক্রমণ সেরে গেলেই পুরো প্রক্রিয়াটি মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।

এসইউএ/এসি