বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০২:২৬ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রবিবার
শোষিত-নীপিড়িত মানুষের মুক্তিই ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ। মানব মুক্তির এ আদর্শ ধারণ করেই শৈশব থেকে তিনি বঞ্চনা-নীপিড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বুক চিতিয়ে। বাঙালির মুক্তি, বাঙালির আত্মপরিচয় ও অধিকারের জন্য জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন কারাগারের অন্ধকার ঘরে। বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ ও দেশ গড়ার স্বপ্ন লালন করেছেন জীবনভর।
শৈশব থেকেই মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। গোপালগঞ্জে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময়ই ছাত্রদের দাবি তুলে ধরেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তির বছরেই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। সম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় শান্তির বারতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন মানুষের পাশে।
দেশ ভাগের পরই বঞ্চনার আরেক অধ্যায়। ভাষার ওপর আঘাত আসার পরই প্রতিবাদ জানান বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন। বার বার কারাগারে যেতে হয়েছে বাঙালির মহান নেতাকে।
কলামিস্ট শেখর দত্ত বলেন, দুঃখী মানুষের হাসি ফুটানো ছিল তাঁর আদর্শের মূল ভিত্তি। রাজনৈতিক দলকে জমিদারী, নবাব ও দালানকোঠা থেকে বের করে জনগণের কর্ণকুঠিরে নিয়ে যাওয়া ছিল তাঁর প্রতিজ্ঞা।
তিনি সব সময় চেয়েছেন বাঙালির আত্মপরিচয়, আত্ম অধিকার। বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনই ছিলো রাজনৈতিক বঙ্গবন্ধুর দর্শন। সোনার বাংলা গড়ার সেই দর্শনকেই তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে।
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, যখন কোন দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকে, তখন সেই দেশটি আর ধর্মনিরপেক্ষ থাকে না।
মুক্তির মহানায়কের মানব মুক্তির দর্শনই শোষিত-নিপিড়িত মানুষের অনুপ্রেরণা। তাইতো ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখিছি, ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো।
ভিডিও-
এএইচ/এমবি