ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নির্ধারিত সময়েই তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হবে: মাহবুব আলী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৪:০৪ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রবিবার

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভূমি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার পর বর্তমানে পাইলিং এর কাজ চলমান রয়েছে। ৩০০০ এর কিছু বেশি পাইলিং এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৬৪ টি পাইলিং সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট কাজের ৬.৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের এ অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমরা আশা করি নির্মাণ কাজ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত জুন-২০২৩ এর মধ্যেই তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।

রোববার (৯ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়ন কাজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি একই সাথে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর কে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার কাজ চলছে। সৈয়দপুরে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হওয়া মাত্রই অন্যান্য কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এর নানাবিধ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজে কর্মরত জনবলের জন্য আলাদা বাসস্থান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন এর ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ সহ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের বিদ্যমান নকশায় কোন পরিবর্তন করা হচ্ছে না। নির্মাণ স্থানের মাটির অবস্থার কারণে স্ক্রুড পাইলিং এর পরিবর্তে বোর পাইলিংয়ে কাজ করা হচ্ছে। এটি একান্তই একটি টেকনিক্যাল বিষয়। এর কারণে প্রকল্প ব্যয় কোনভাবেই বৃদ্ধি পাবে না বরং মোট প্রকল্প ব্যয় হতে ৭৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত এই টাকা দিয়ে সরকার ও জাইকার সম্মতি এবং অন্যান্য বিধিগত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি সাপেক্ষে তৃতীয় টার্মিনালে নির্মিতব্য ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের অতিরিক্ত আরও ১৪ টি বোর্ডিং ব্রিজ ও একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসি