ভারতে ১১ পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪০ এএম, ১০ আগস্ট ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৮:৪৪ এএম, ১০ আগস্ট ২০২০ সোমবার
ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা- প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া
কুঁড়েঘরের ভিতরে সারি সারি মৃতদেহ। কীটনাশকের তীব্র গন্ধ। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পুলিশের দাবি, একই পরিবারের ১১ জন বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন। সম্ভবত কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় পুরো পরিবার। ঘটনাস্থল ভারতের রাজস্থানের জোধপুর শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের দেহাতি গ্রাম ডেচুর। মৃতরা সকলে পাকিস্তানি। গতকাল রোববার বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় পুলিশের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
ডেচু থানার পুলিশ কর্মকর্তা হনুমান রাম জানান, ১২ জনের পরিবারটি ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছিল। সকলেই ভিল সম্প্রদায়ের মানুষ। কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পদ্ধতি শুরু হয়েছিল। পরিবারের এক জন কেবল রাম (৩৫) শনিবার রাতে ফসল পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাইরে ঘুমানোর জন্য বেঁচে যান। সম্পর্কে জামাই হলেও তিনি ঐ ভিল পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। সকালে তিনি ঘরে এসে দেখেন সবাই মৃত। রাম পুলিশকে জানান, কিভাবে এবং কি হয়েছে সেই সম্পর্কে তার ধারণা নেই।
পারিবারিক কোন্দলে এমন হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে এই মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘প্রায় এক ডজন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে কিভাবে সরকার চলছে, তা দেখিয়ে দিল এই বেদনাদায়ক ঘটনা।’
হনুমান রাম জানান, সকালে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। বিছানায় একের পর এক মৃতদেহগুলি পড়ে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন মহিলা এবং ৪টি শিশু। ঘরের মধ্যে রাসায়নিক কীটনাশকের তীব্র গন্ধ থেকে তার ধারণা সবাই জেনেশুনেই তা খেয়েছেন। পাকিস্তান থেকে পরিবারটি বাস্তুচ্যুত হয়ে এসে প্রথমে শরণার্থী শিবিরে থাকত। ছয় মাস আগে ঐ খামার ইজারা নিয়ে চাষবাস ও দেখভালের জন্য ঐ কুঁড়েঘরে উঠে আসেন তারা। জোধপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল ভরত জানিয়েছেন, কারও দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। মেলেনি বল প্রয়োগের প্রমাণ।
এমএস/