পৃথিবীর জন্য দুঃসংবাদ!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫০ এএম, ১১ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার
সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা আগুনের বিরাট বিরাট শিখা ‘সোলার ফ্লেয়ারে’র পর এবার দেখা মিলল সৌরকলঙ্কের। বিশালাকার চেহারা তার। ৫০ কিমি ব্যাসার্ধ তার পরিমাপ। বিজ্ঞানের ভাষায় তার নাম AR2770। যা পৃথিবীর জন্য মোটেই সুখবর নয়। বিজ্ঞানীদের চিন্তা বাড়িয়েছে এই সৌরকলঙ্ক।
মহাজাগতিক আরেক রোমাঞ্চ সৌরকলঙ্ক। এর ফলে ২০২০ সালে আর কী কী দূর্বিপাক বাকি আছে তার হিসেব কষছে মানবসভ্যতা। আক্ষরিক অর্থে সমস্যা যে হঠাৎ করেই আসবে তা নয়, কোন কোন ক্ষেত্রে সংকেত দেয়, কিছু কিছু দৃশ্য ফুটে উঠে। সৌরকলঙ্ক এরকমই একটি হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূর্যের এহেন কার্যক্রম দেখে কেন ভয় পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা? তাদের মতে, সোলার ফ্লোয়ার পৃথিবীতে উপস্থিত মানবসভ্যতা, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশের আবহাওয়ার পক্ষে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এরা হঠাৎই ছুটে এসে তছনছ করে দিতে পারে। কাজেই এর তেজ বৃদ্ধি পাওয়া কখনও একটি ভালো খবর হতে পারে না।
সোলার ফ্লেয়ার পৃথিবীতে মানবসভ্যতা, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশের আবহাওয়ার পক্ষে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এরা হঠাৎই ছুটে এসে তছনছ করে দিতে পারে।
সৌরচক্রের উপর নির্ভর করে সৌরকলঙ্কের কমা ও বাড়া। সৌরচক্রের মধ্যেই সূর্যের গায়ে দেখা যায় সৌরকলঙ্ক। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যত সৌরকলঙ্ক বৃদ্ধি পাবে তত বেড়ে যাবে সৌরচক্রের শক্তি। আর সেই সৌরচক্রের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাই করছেন বিজ্ঞানীরা।
সানস্পট সূর্যের একটি অন্ধকার অঞ্চল। যা অন্যান্য অংশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে শীতল। এই সানস্পটগুলোতে আয়নযুক্ত গ্যাস রয়েছে যা শক্তিশালী চৌম্বকীয় শক্তির ক্ষেত্র তৈরি করে। আমাদের সূর্যের গ্যাসগুলো ক্রমাগত চলমান, যারা এই ‘চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে’র কারণে নিয়মভঙ্গ করতে বাধ্য হয়। যা কখনই একই নিয়মে কাজ করে না। এই সৌরকলঙ্ক বা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেলে সূর্য থেকে বেরিয়ে আসে সৌরবায়ু, সৌরঝড়, সৌরঝলক। যা ভয়ঙ্কর বিপ্পজনক।
সৌরকলঙ্ক বাড়লে পৃথিবীর কী কী ক্ষতি হতে পারে:
* কৃত্রিম উপগ্রহগুলো তছনছ হয়ে যাবে।
* টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।
* বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হবে।
* আকাশের মধ্যে বিমান আক্রান্ত হবে।
* মেরুজ্যোতির বদল ঘটবে।
* পৃথিবীর তাপমাত্রার হেরফের হবে।
এএইচ/এমবি