নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩ টাকা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার
দেশের বৃহৎ চালের মোকাম নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। আর ২৫ কেজির বস্তায় বেড়েছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা। খুচরা বাজারে ক্রেতা না থাকলেও চালের দাম বৃদ্ধির জন্য খচরা ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন মিল মালিকদের আবার মিল মালিকরা বলছেন সরকারী ক্রয় নীতিমালায় চাল ও ধানের মূল্যের সমন্বয় না থাকায় চালের দাম বাড়ছে।
মঙ্গলবার জেলার মোকামগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র এক সপ্তাহ আগে যে চাল বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৮ টাকায়। বর্তমানে জেলার খুচরা বাজারে মোটা জাতের স্বর্না ও আটাশ চাল প্রতি কেজি ২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। চিকন জাতের জিরাশাইল ও মিনিকেট ৪২ ও ৪৫ থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়।
সরকারি ও মিল মালিকদের গুদামে পর্যাপ্ত পরিমান চাল মজুদ থাকলেও ক্রমেই চালের বাজার অস্তির হয়ে উঠছে। এতে করে নিন্ম আয়ের মানুষের পড়েছে চরম বিপাকে।
নওগাঁর খুচরা চাল বাজারের ব্যবসায়ী কৃষ্ণ চন্দ্র মন্ডল বাজারে ক্রেতা নেই,অন্যদিকে চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, মিল মালিকরা সঠিকভাবে চাল সরবরাহ করছে না। করলেও তারা দাম বেশী নিচ্ছে। এ কারনে খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে।
আবার মিল মালিকদের অভিযোগ ভিন্ন তারা বলছেন সরকারি ধান-চাল সংগ্রহনীতি মালায় ধান ও চালের মূল্যের সমন্বয় নাই। এ প্রসঙ্গে গাঁফা রিহা রাইসমিল মালিক শেখ ফরিদ বলেন, নওগাঁয় আটো ও হাসকিং মিলিয়ে প্রায় ১২'শ মিল রয়েছে। এসব মিল থেকে চাল উৎপাদন হচ্ছে।এ মৌসুমে সরকার ধান কিনেছেন চড়া দামে। কিন্তু তার বিপরিতে যে দামে চাল কিনছেন তা বিক্রি করে উৎপাদন খরচ মেটানো দায়। সরকারের সংগ্রহনীতিতে ধান ও চালের দামে সমন্বয়হীনতার কারনেই চাল বাজারের এমন পরিস্থিতি।
নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী জানান, চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে জেলার বাজার গুলোতে মনিটরিং করা হচ্ছে। চালের মূল্য বৃদ্ধির হওয়ার কথা নয।
কে আই//