সিংড়া সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়!
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২০ বুধবার
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস পাদুভার্বের পর পরই শুরু হওয়া বন্যার কারণে সার্কাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পোষা হাতি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। সার্কাস পার্টিতে হাতি ভাড়া দিয়ে নিজের সংসার খরচ নেন হাতি মালিককরা। হাতির যাবতীয় খরচও বহন করে সার্কাস পার্টি। কিন্ত করোনা মহামারি ও বন্যার কারণে সার্কাস পার্টির শো বা অনুষ্ঠান বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। কোন কোন সার্কাস পার্টির সদস্যের দুবেলা খাবারও জুটছে না এখন। এর ওপর বোঝা হয়ে আছে হাতি-ঘোড়াসহ বিভিন্ন পোষা জীব জন্তু। হাতিসহ এসব জীবজন্তুর খাবারও জুটছেনা কোথাও।
চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম গ্রামে এই সময়ে চুপিচুপি এসব সার্কাস শোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্ত এবার ভয়াবহ বন্যায় সেটিও বন্ধ রয়েছে। সার্কাস বা যাত্রা অনুষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। দীর্ঘদিন শো করতে না পারায় হাতিসহ অন্যান্য জীবজন্তু নিয়ে প্রায় অভুক্ত থাকছেন তারা। ধার দেনা করে এতদিন চললেও এখন কেউ আর ধার দেনাও দিতে চাচ্ছেন না। শো আয়োজনের কোন সম্ভাবনা না থাকায় তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে এসব পার্টির পোষা জীবজন্তু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা। তাই হাতিসহ জীবজন্তুর খাবার জোটাতেই অনেকেই বের হয়েছেন পথে। বিশেষ করে হাতি নিয়ে তাদের মাহুত পথে নেমে যানবাহন, দোকানপাট বা পথচারিদের পথ আটকে টাকা আদায় করছেন। হাতির খাবার জোটাতেই এমন করে মানুষের কাছে থেকে টাকা চেয়ে নিচ্ছেন। ওই টাকায় হাতির খাবারের পাশাপাশি তাদের খাবারও জোটাতে পারছেন বলে জানান হাতির মাহুত।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সিংড়া উপজেলার জোলারবাতা এলাকায় মহাসড়কে হাতি দিয়ে যানবাহন ঠেকিয়ে এসব চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। যাত্রীদের অনেকেই আতংকিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করছে। এতে করে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ওসি নুর এ আলম সিদ্দিকী বলেন, সিংড়া এলাকায় কোন পোষা হাতি রয়েছে কিনা তা জানা নেই। সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি তিনি জানেন না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
এনএস/