শার্শায় উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎবাষির্কী উপলক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যশোরের শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) সকালে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে বেনাপোল গাজীপুর প্রাইমারি স্কুলের মাঠে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায়প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিরাজুল হক মঞ্জু,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ-উদ-দৌলাহ অলক সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা,সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন,বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কাউন্সিলর আহাদুজ্জামান বকুল ও যুগ্ম আহবায়ক মো. জসিম উদ্দিন। এসময় শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ এই দেশটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিন্তু এত সহজেই কি মুছেফেলা যায় জনকের নাম আর জনকের স্বপ্নজাত দেশটিকে? দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে এই আমরাই তো একমাত্র জাতি যারা সশস্ত্র সংগ্রাম করে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একটি মানুষের ডাকে, একটিমাত্র রণমন্ত্র কণ্ঠে ধারণ করে। সেই মানুষটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সেই রণমন্ত্র ‘জয় বাংলা’। কার সাধ্য এ জাতির গতিরোধ করে, বঙ্গবন্ধুর মতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর এক সন্তান আর যখন তাঁর বাহুতে আজও বঙ্গবন্ধুরই শক্তি রয়েছে বহমান।
তিনি আরও বলেন, এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে ঘাতকের হাতে। ৪৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই কালিমাময় দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকে। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয় ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতে তো এমন একজন রাষ্ট্রনায়ককে একটি জাতির হৃদয় থেকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন প্রতিটি উৎসবে, আনন্দ-বেদনায়। তিনি যে মৃত্যুঞ্জয়ী। কবিতার ভাষায়- ‘এই ইতিহাস ভুলে যাব আজ, আমি কি তেমন সন্তান? যখন আমার পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান।’
কেআই//