ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শোকাবহ আগস্ট এবং আমার কিছু স্মৃতি

ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২০ শনিবার

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিভীষিকাময় হত্যাকাণ্ডের কথা আমার যতবারই মনে পড়ে শোকের মাতমে বুক ডুকরে কেঁদে ওঠে। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষে শেখ কামাল ভাইসহ মাঝরাত অবদি আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দলবেঁধে কাজ করেছিলাম। কাজের এক ফাঁকে রাত ৯ টার দিকে প্রিয় অনুজ, বরগুনা জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার আব্দুর রশীদকে সঙ্গে নিয়ে আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সাহেবের বাসাতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ছিলাম।

বিভিন্ন কমিটি গঠন সংক্রান্ত ব্যাপারে একটা দায়িত্ব দিতে উনি আমাকে ডেকেছিলেন। সেখানের কাজ শেষ করে রাত একটার দিকে সলিমুল্লাহ হলে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত হই। রাত দুইটার দিকে কামাল ভাই বাসায় চলে যেতে উদ্যত হলে, আমরা যারা তাঁর সঙ্গে ছিলাম, না যাওয়ার অনুরোধ করে বলেছিলাম, আপনি যাইয়েন না, আমরা ভোরবেলা আপনাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে চাই। কিন্তু তিনি জানালেন তাকে যেতে হবে বাসায়। মৃত্যুর মাত্র আড়াই তিন ঘণ্টা আগেও তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন!

কামাল ভাই চলে যাওয়ার পর আরও কিছু কাজ করে রাত প্রায় তিনটার দিকে রুমে এসে ঘুমাতে যাই। তেমন একটা ঘুমাতে পারিনি, এরমধ্যে খুব ভোরে হরিমানিক্য দত্ত নামে এক বন্ধু আর্তনাদের সুরে ডেকে আমার ঘুম ভাঙাল। উদ্বেগজড়িত কণ্ঠে সে বলছিল, দাদা, ওঠেন ওঠেন, বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছে! তখন আমি জগন্নাথ হলের ইস্ট হাউসের দোতলায়। এখান থেকে পেছনে তাকালেই জগন্নাথের মাঠ। সেখানে তখন পুলিশ, আনসার সদস্যরা প্যারেড প্রাকটিস করছিল বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অফ অনার দেয়ার জন্য। হরিমানিক্যের কথাটা তাই কিছুতেই বিশ্বাস হলো না। ওকে বললাম, যাও এটা কিছুতেই হতে পারে না। প্যারেড প্রাকটিস দেখিয়ে ওকে বলতে চাইলাম দেখছ না বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। আমাকে থামিয়ে দিয়ে সে বলে, ওরা এখনও জানে না। 

এরমধ্যে হলের অনেকেই দৌড়াদৌড়ি করে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তখনও আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে বঙ্গবন্ধু আর নেই। রুমে ছোট একটি রেডিও ছিল। আমি রেডিও অন করলাম। রেডিওতে ততক্ষণে মেজর ডালিমের কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে : আমি মেজর ডালিম বলছি- শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। বলে কী? এ-ও কি হতে পারে? পাকিস্তানী ঘাতকরা সহস্র ষড়যন্ত্র করে, বিচারের নামে প্রহসন করেও যাকে হত্যা করতে পারেনি, সেই বঙ্গবন্ধুকেই স্বাধীন বাংলাদেশে হত্যা করা হয়েছে- এটি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, যে মাত্র তিন চার দিন আগে, আগস্টের ১১ তারিখে আশরাফুল ভাই, ওবায়দুল কাদের ভাইসহ আমরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা গিয়ে যার আশীর্বাদ আর দিক-নির্দেশনা নিয়ে এলাম জাতির সেই মহান কর্ণধারকে এভাবে মেরে ফেলতে পারে!

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হল থেকে দ্বিধাগ্রস্ত মনে আমি বেরিয়ে পড়লাম। তারপর ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমপিদের বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। হেঁটে যেতে যেতে রাস্তায় বেশ কিছু ট্যাঙ্ক দেখলাম তবে তারা আমাদের কিছু বলেনি। প্রথমেই গেলাম আমাদের এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আসমত আলী শিকদারের মনিপুরী পাড়ার বাসায়। উনি তখন অসুস্থ ছিলেন, তাই খুব বেশি কথাবার্তা হলো না। ওনার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে গেলাম। সেখান থেকে তেজগাঁওয়ে তখনকার এমপি হোস্টেলে গিয়ে সংসদ সদস্য নিজামউদ্দীন তালুকদারের সঙ্গে দেখা করলাম। তার সঙ্গে কিছু কথাবার্তা হলো কিন্তু কোন দিকনির্দেশনা পেলাম না। ওইখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন ছিল। ডাকলাম। সেখানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকেও পেলাম। সে আমাকে বলল, ল’ দোস্ত ড্রাম ফ্যাক্টরির ওইদিকে যাই। তখন সব এলোমেলো ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। 

আমরা ক’জন মিলে ড্রাম ফ্যাক্টরির সামনে যেখানে এখন বিআরটিএর অফিস সেখানে গিয়ে রাস্তার কোণায় দাঁড়াই। ওখানে দেখি কিছু বাঙালী আর বিহারি মিলে একটা দল পাকিয়েছে। তাদের টার্গেট হলো এমপি হোস্টেল লুট করা। আমি আর জাফর মিলে তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, ওদের এখান থেকে হটাতে হবে। নইলে একটা বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে গেলে সেটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। ওদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে আমরা কয়েকজন মিলে ইট পাটকেল ছুড়লাম। পরে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত জনতার অনেকে এসেই যোগ দিল। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছু বুঝতে না পেরে ওরা যে যেদিকে পারে সেদিকে ছুট দিল। সারাদিন কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে খাওয়া-দাওয়া না করে আমরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করলাম। কারণ, নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যে স্বাধীনতার বিজয়ের মূলে আঘাত করা হয়েছে এটাই আমরা মানতে পারছিলাম না।

শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সেদিন সপরিবারে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছিল কর্নেল জামিলকে। হত্যা করা হয়েছিল ৩২ নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী আরও বেশ কয়েকজনকে। নিষ্পাপ রাসেল, বেগম মুজিব, শেখ নাসের, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও নববধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, কাউকেই রেহাই দেয়নি ঘাতকরা। একই সময়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল শেখ ফজলুল হক মনি এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়িতে। সেরনিয়াবাত সাহেবের বাড়িতে যদি আর কিছুক্ষণ আমরা অপেক্ষা করতাম, আমাদেরও হয়ত একই পরিণতি বরণ করতে হতো। যত বড় অপরাধ করেছিল জুডাস, ব্রুটাস, এজিদ, মীরজাফর এদের সম্মিলিত অপরাধের চাইতেও বেশি অপরাধ ১৫ আগস্টের খুনিদের।

নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকা-ের পর আমাদের একটা ভরসা ছিল রক্ষীবাহিনীকে ঘিরে। কিন্তু বিদ্রোহীদের অনুগতরা গিয়ে রক্ষীবাহিনীর সেনাদের অবরোধ করে ফেলেছিল। তবে এরপরও আমি ভেবেছিলাম সিনিয়র নেতারা সবাই তীব্র প্রতিবাদ করবে, কিন্তু ঘটনা ঘটল তার উল্টো। জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচএম কামরুজ্জামান এবং তোফায়েল আহমেদ ও আবদুর রাজ্জাক ছাড়া ভরসা করার মতো প্রায় অনেকেই খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন। বুঝতে পারলাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী যে শক্তিটি স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে পাকিস্তানি মূল্যবোধ সম্পৃক্ত একটি দেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশবিশেষ। ফলে ১৫ আগস্টের পরপরই স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ওপর, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ আর সংখ্যালঘুদের ওপর। নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ-সংখ্যালঘু নির্যাতন শুরু হয় চোখের পলকে। বুঝে ওঠার আগেই প্রশাসনের সব ক্ষেত্র বদলে যায়। পাকিস্তানপন্থীরা শুরু করে স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের ওপর নির্মম অত্যাচার। মানসিকভাবে আরেকটি যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে করতে আগস্টের ১৭ তারিখ ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। তখন বার বার মনে হচ্ছিল, মুক্তিযুদ্ধে বাবাকে হারিয়ে এতিম হওয়ার মতো বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আরও একবার তেমনভাবে এতিম হলাম।

আমি বরগুনা পৌঁছে দেখি এসডিও সিরাজুদ্দিন সাহেব ও এসডিপিও ফারুক সাহেবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিস্ট পার্টির সমন্বয়ে একটা প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। তারা সেখানে মোশতাক সরকারের কারফিউ জারি করতে দেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের ভেতরে যেটা একইসঙ্গে প্রথম প্রতিবাদ এবং বিদ্রোহ ছিল। এখানে আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রক্ষীবাহিনীও তাদের অস্ত্র জমা দেয়নি। আমি এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলাম আর মনে মনে স্রষ্টার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে সশরীরে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে। আমরা এখানে টানা ৮ দিন খুনি মোশতাক সরকারের কার্যক্রম থেকে সবকিছুকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পেরেছিলাম। 

একটা দিন আমরা শহরের জ্ঞানরঞ্জন ঘোষের বাড়িতে বসে মিটিং করতাম, প্রতিবাদের যাবতীয় কর্মসূচী ঠিক করতাম আর আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে রাস্তায় রাস্তায় স্লোগান দিতাম, মুজিব হত্যার বিচার চাই, খুনি মোশতাক সরকারের শাসন মানি না, মানবো না। এভাবে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন চলার মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, মোসলেম শরীফ, ইউনুস শরীফ, নুরুল ইসলাম শিকদার, পাশা তালুকদার, মান্নান মিয়া, জাহাঙ্গীর কবির, নাজেম আলীসহ আমরা যারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম তারা অনেকেই গ্রেফতার হয়ে গেলাম আর সিরাজউদ্দীন সাহেবকে চাকরিচ্যুত করা হলো।

জাতির পিতাকে হত্যার প্রতিবাদ করায় খুনি মোশতাক সরকার গ্রেফতার করে আমাকে। সে সময়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারা প্রয়োগ করে আমাদের ডিটেনশন দেয়া হয়। সেই দুঃসহ সময়ে আমার জন্য খাবার নিয়ে প্রতিদিন জেলগেটে আসতো মুজিবভক্ত মোহন। আবার খাবার শেষে প্রতিদিন খালি বাটি নিয়ে যেত। ডিটেনশনে ছিলাম বলে খুবই কড়া পাহারায় রাখত। তবে ওর মাধ্যমেই টুকটাক খবরা-খবর আদান-প্রদান করতে পেরেছিলাম। পঁচাত্তর থেকে আটাত্তর পর্যন্ত জীবনের চরম দুঃখের তিনটি বছর আমার পাশে থেকেছে মোহন। এর মাঝেই একদিন গোপনে মোহনের মাধ্যমে ভাতের বাটির ভেতরে লুকিয়ে চিঠি পাঠিয়ে ডিটেনশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করার খবর পাঠিয়েছিলাম বাড়িতে। তবে সে চিঠি বাড়িতে পৌঁছানোটাও ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। 

পরে জেনেছি জেল গেট থেকে বরগুনা জেলা স্কুলের ব্রিজ পর্যন্ত আসতেই মোহন বুঝতে পারে পুলিশ তার পিছু নিয়েছে। তাকে থামতে বলছে চিৎকার করে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় মোহন সাত পাঁচ কিছু না ভেবেই বাটি নিয়ে খালে ঝাঁপ দিয়েছিল সেদিন। সাঁতার কেটে খালের পশ্চিম পাড়ে উঠে এক দৌড়ে আমাদের আমতলার পাড়ের বাসায় পৌঁছায়। সেই ভেজা চিঠিতেই সেদিন লেখা ছিল হাইকোর্টে রিট আবেদন করার কথা। আমার ছোটো বোন আরতি ও ছোটো ভাই বিপুল সে চিঠি নিয়ে ঢাকায় এসে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও স্পিকার মালেক উকিল সাহেবের সঙ্গে দেখা করে। অবশেষে তার আইনী সহায়তায় তিন বছর অন্যায়ভাবে আটক থাকার পর জেল থেকে মুক্ত হই।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কেবল বঙ্গবন্ধুর দেহকেই বুলেটবিদ্ধ করা হয়নি, আঘাত করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর। তাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করাই শুধু ছিল না, ছিল মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকেই ধ্বংস করে দেয়া। আর তাই ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় একই বছরের ৩ নবেম্বর কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর চার জাতীয় নেতাকেও। এর ফলে উত্থান ঘটে মৌলবাদ তথা পাকিস্তানবাদের। রাতারাতি বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় রেডিও বাংলাদেশ, জয় বাংলা হয়ে যায় পাকিস্তান জিন্দাবাদের অনুকরণে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। 

১৫ আগস্টের সেই দোসররা আজও সক্রিয়। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার মহান ব্রত নিয়ে অগ্রসরমান তার কন্যা শেখ হাসিনাকে একুশ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মদদে ২১ আগস্টের মতো হত্যাকা-ও ঘটানো হয়েছে। তিনি তবুও এগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে। তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব এবং নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক নতুন পালক। আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে দিনকে দিন।

আনন্দের কথা হচ্ছে, আমাদের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে দৃঢ় প্রত্যয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এই বাংলাদেশ দেখার প্রত্যয়েই তো সেদিন প্রতিবাদ করেছিলাম আমরা, কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছি যৌবনের তিনটি বছর।

এমবি//