দেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলেন জিয়া : ওয়েবিনারে বক্তারা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৯ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২০ শনিবার
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস ইতিহাস লেখা হয়েছিল এই দিনে। ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য, আতীয়-স্বজন এবং বাসায় কর্মরত কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীরা। এই নির্মম ঘটনার পরে কেমন ছিলো বাংলাদেশ? ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের কথা তুলে ধরতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজন করেছিলো ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ ও কিছু অজানা কথা’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের।
ওয়েবিনারের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিবছর এই দিনটি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পালন করতাম। যেভাবে আমরা দিনটি পালন করতাম এবার এই কোভিড ১৯ এর সময়ে তা হচ্ছে না। কিন্তু যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না তাকে শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করছি।জাতির পিতা ১২ টি বছর কারাগারের অন্ধকারের প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। তাঁর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। দীর্ঘ ২১ বছর পরে সেই পতাকা ক্ষমতায় আসলো। এরপরে আমরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা হত্যা কান্ডের বিচার কার্য শুরু করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, এরপর তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছয় দফাকে আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। এরপরে বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিলেন তখন আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরলাম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাতের আলোতে রাজনীতি করতেন না, যা করতেন দিনের আলোতে করতেন। এবং মানুষকে সাথে নিয়ে করতেন। এক দুজন মানুষ না, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতেন।
ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে এবং তার আদর্শে দেশ গড়ার মহান ব্রতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে।
কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যেন জাতীয় শোক দিবসের পরিবেশ বিনষ্ট না হয় এবং আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পটভূমিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
একইসঙ্গে দেশের সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিও জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানান তিনি।
নূহ-উল-আলম লেনিন বঙ্গবন্ধুকে ৫ বার হত্যাচেষ্টার ঘটনাবলি উল্লেখ করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সহ নানান ভাবে হত্যা চেষ্টা করা হয়। এরপরে পাকিস্তানি ২ জন নাগরিক দিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তব্যের শুরুতে ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনায় নিহতদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন,
তিনি বলেন, “আমি তখন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তখন আমি ঢাকা আসি। আমরা শুনতে পেলাম এমন ভয়াবহতার কথা। আমাদের কাছে খবর এলো প্রতিবাদ নয় শুধু গ্রেফতার চলছে। কি ভয়াবহতা চোখের সামনে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে যদি দেশে ফিরে না আসতো তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো না। তাহলে কোনদিন ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হতো না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সেদিন আমাদের জাতির জনকের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের চেতনাকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতির প্রচেষ্টা করা হয়েছিলো ৭৫ এর হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে।
শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার হত্যাকান্ডের পরে পুরো জাতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি হত্যাকান্ডের বিচারকার্য বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বেতার বাংলাকে পাকিস্তানের আদলে রেডিও বাংলাদেশ করলেন। সর্বোপরি ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ ছিল অন্ধকার, যা পুরোটা পাকিস্তানের আদলে সাজাতে চেয়েছেন জিয়া।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই অনুষ্ঠান। এছাড়াও আরও সম্প্রচারিত হয় বিজয় টিভি, বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজ২৪, বার্তা২৪, সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক, সারাবাংলা, ভোরের কাগজ, জাগোনিউজ২৪ ও বাংলাদেশ জার্নালের ফেসবুক পাতায়।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস ইতিহাস লেখা হয়েছিল এই দিনে। ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য, আতীয়-স্বজন এবং বাসায় কর্মরত কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীরা। এই নির্মম ঘটনার পরে কেমন ছিলো বাংলাদেশ? ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের কথা তুলে ধরতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ আয়োজন করেছিলো ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ ও কিছু অজানা কথা’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের।
ওয়েবিনারের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিবছর এই দিনটি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পালন করতাম। যেভাবে আমরা দিনটি পালন করতাম এবার এই কোভিড ১৯ এর সময়ে তা হচ্ছে না। কিন্তু যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না তাকে শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করছি।জাতির পিতা ১২ টি বছর কারাগারের অন্ধকারের প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন।তাঁর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। দীর্ঘ ২১ বছর পরে সেই পতকা ক্ষমতায় আসলো। এরপরে আমরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা হত্যা কান্ডের বিচার কার্য শুরু করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, এরপর তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছয় দফাকে আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। এরপরে বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিলেন তখন আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরলাম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাতের আলোতে রাজনীতি করতেন না, যা করতেন দিনের আলোতে করতেন। এবং মানুষকে সাথে নিয়ে করতেন। এক দুজন মানুষ না, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতেন।
ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে এবং তার আদর্শে দেশ গড়ার মহান ব্রতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে।
কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যেন জাতীয় শোক দিবসের পরিবেশ বিনষ্ট না হয় এবং আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পটভূমিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
একইসঙ্গে দেশের সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিও জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানান তিনি।
নূহ-উল-আলম লেনিন বঙ্গবন্ধুকে ৫ বার হত্যাচেষ্টার ঘটনাবলি উল্লেখ করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সহ নানান ভাবে হত্যা চেষ্টা করা হয়। এরপরে পাকিস্তানি ২ জন নাগরিক দিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তব্যের শুরুতে ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনায় নিহতদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, “আমি তখন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তখন আমি ঢাকা আসি। আমরা শুনতে পেলাম এমন ভয়াবহতার কথা। আমাদের কাছে খবর এলো প্রতিবাদ নয় শুধু গ্রেফতার চলছে। কি ভয়াবহতা চোখের সামনে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে যদি দেশে ফিরে না আসতো তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো না। তাহলে কোনদিন ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হতো না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সেদিন আমাদের জাতির জনকের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের চেতনাকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতির প্রচেষ্টা করা হয়েছিলো ৭৫ এর হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে।
শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার হত্যাকান্ডের পরে পুরো জাতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি হত্যাকান্ডের বিচারকার্য বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বেতার বাংলাকে পাকিস্তানের আদলে রেডিও বাংলাদেশ করলেন। সর্বোপরি ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ ছিল অন্ধকার, যা পুরোটা পাকিস্তানের আদলে সাজাতে চেয়েছেন জিয়া।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই অনুষ্ঠান।
এসএ/