অটোয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:১১ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২০ রবিবার
কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। আজ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, এক মিনিট নীরবতা পালন, বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা।
১৫ই আগস্ট সকালে হাইকমিশন হাউজে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। বিকালে দিবসের আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ মহামরীর প্রেক্ষাপটে স্বাগতিক দেশের আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাইকমিশন এই দিবস পালন করে। কর্মসূচিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ গ্রহণ করেন।
দূতাবাসের প্রথম সচিব মিস অর্পনা রানী পালের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশীসহ হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের উপর র্নিমীত প্রামাণ্য চিত্র প্রর্দশন করা হয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার বলেন, মা, মাতৃভূমি আর মাতৃভাষা যেমন অবিচ্ছেদ্য সর্ম্পকে আবদ্ধ, তেমনি বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ, আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের অতি দ্রুত স্বীকৃতি পাবার ক্ষেত্রে সফল হন। কিন্তু ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ও বিয়োগান্ত ঘটনায় জাতির এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
মিজানুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির শুভ মুহূর্তে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পলাতক হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের স্বপক্ষে লড়াই করার উদ্দেশ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
হাইকমিশনার করোনা সংকটকালে দূতাবাস প্রবাসীদের সেবায় নেয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ছিলেন কবির চৌধুরী, শাহ বাহাউদ্দিন শিশির, মতিন মিয়া, মাসুদ সিদ্দিকী, মুন্সি বশির, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মুহিবুর রহমান এবং হাসানুজ্জামান। প্রবাসী বাংলাদেশীরা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান।
দিবসটি উপলক্ষে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে “বঙ্গবন্ধু কর্নার” উদ্বোধন করেন হাইকমিশনার। তিনি উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুর কর্নারে বঙ্গবন্ধুর উপর পুস্তক, ডকুমেন্টরিসহ বিভিন্ন উপকরণ থাকবে, যা প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য উন্মুক্ত । বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস সর্ম্পকে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠান শেষে ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা, করোনা থেকে মুক্তি কামনা এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এএইচ/এমবি