চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতাসহ আরও ৩ জনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৩:৩১ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার
চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে এক যুবলীগ নেতাসহ আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা ২১ জনে ঠেকেছে। পাশাপাশি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
জানা যায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা দরবেশ দফাদার (৩০) মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত. জাহা বক্সের ছেলে। আজ সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুলিয়েট পারফিউন সাংবাদিকদের জানান, ‘এক সপ্তাহ যাবৎ দরবেশ দফাদার জ্বর, ঠান্ডা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।’
তিনি বলেন, ‘দরবেশ দফাদারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সবগুলো উপসর্গ ছিল। এক্স-রে তে দেখা গেছে, তার ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে।।’
এর আগে, জেলা সদর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে হামিদুল ইসলাম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আবুরি গ্রামের হায়দার হোসেনের ছেলে।
হামিদুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আত্মীয়ের বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত শনিবার দিবাগত দুপুর ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখানে তার শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির তার জানান, ‘মৃত্যুর পর হামিদুর রহমানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা প্রটোকলে মৃতের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে।’
এছাড়া, সিভিল সার্জন অফিস করোনা আক্রান্ত হয়ে আকরামুল নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে।
এদিকে, জেলায় নতুন করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার রাত ৯টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসে ৩১ জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ ও বাকি ১৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী ৬ জন। যাদের বয়স ৭ থেকে ৭২ বছরের মধ্যে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলা থেকে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৪ হাজার ৩১৩টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৪ হাজার ১৪৮টি। এর মধ্যে পজিটিভ ১ হাজার ১৩ জন ও নেগেটিভ ৩ হাজার ৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫২৬ জন সুস্থতা লাভ করেছেন৷
এআই//এমবি