ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

পল্লবী থানার বোমা হামলায় টার্গেট ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৩:১২ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার

রাজধানীর পল্লবী থানার ভেতরে বিস্ফোরণ হওয়া বোমার টার্গেট ছিলেন এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এ বিষয়টি সূত্র হিসেবে নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। 

জানা যায়, পল্লবী থানার ভেতরেই গত ২৯ জুলাই বিস্ফোরণে আহত হন চার পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন। গ্রেফতার হওয়া তালিকাভুক্ত ৩ সন্ত্রাসীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বোমারই বিস্ফোরণ ঘটে বলে দাবি করে পুলিশ। ঘটনার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদনে কি আছে সে বিষয়ে মুখ খুলছে না কেউই। তবে এটি যে জঙ্গী হামলা নয় তা নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পল্লবীর ঘটনা। এটা একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তবে জঙ্গি’র সঙ্গে এর কোন সম্পৃক্ততা নেই।’

ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় আছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী। তিনি গ্রেফতার হওয়া ৩ সন্ত্রাসীর টার্গেটে ছিলেন। বিস্ফোরণ মামলা থেকে সন্ত্রাসীদের নাম প্রত্যাহারের বিষয়ে বাপ্পিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই অডিও রেকর্ডটি একুশে টেলিভিশনের হাতে এসেছে।

অডিওতে শুনা যায় ডিএনসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পিকে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন বলেন, ‘বহুত বড় বড় গুন্ড/পান্ডা আছে, কিন্তু তুমি এতটুকু ভরসায় থাইক। সব কিছু টেকেল দিতে পারবো আমি।’ বাপ্পি বলেন, ‘কি হননেটের না কিসের যেন গুলি আনছে আমারে মারা জন্য। এটা দিয়া গুলি করলে নাকি গুলি নাকি অনেক জোরে চলে।’ মামুন বলেন, ‘যা কিছু অইছে না অইছে বাপ্পি আমি স্টপ করাইয়া দিসি। যেই যেই নানা গুলান আসছে না, তাদের মাধ্যমে তোমার এক চুল পরিমান ক্ষতি হয়, সব দায় দায়িত্ব আমার উপরে, এখন এটা আমার উপরে, এটা এখন কেমনে ঠিক করবা কর।’

বাপ্পী বলছেন, আগে থেকেই হামলার টার্গেট ছিলেন তিনি। এখনও আতঙ্গে দিন কাটছে বলেও জানান এই কাউন্সিলর। তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি  জানায় বলেন, ‘২ হাজার ৮ সালের মে মাসে আমার আব্বাকে হত্যা করা। যারা হত্যা করেছে মামুন- জামিল তারাই আবার এই ২০২০ সালে এসে আমার উপরে হত্যাযজ্ঞ চালাতে চাচ্ছে। ভয়ে আছি। এবং আমি আজ থেকে ২০/২৫ বছর যাবৎ আমি বাসা থেকে বের হই না। আমি কিন্তু অফিসেও কম আসি।’

পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। ডাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র মিডিয়ার উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘কারও গাফিলতির কারণে বিস্ফোরণ হয়েছিল কিনা, হত্যা করার উদ্দেশ্যে এই অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল কিনা সকল বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি।’ তদন্তে এখন পর্যন্ত যাদের নাম বেরিয়ে এসেছে তাদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে বলে জানান তিনি। 

এসইউএ/এমএস