‘রাজনীতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র বিএনপির হাত ধরেই শুরু’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার
ফাইল ফটো
‘দেশের রাজনীতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ‘সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা আছেন বলেই জঙ্গিরা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। জঙ্গিদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে এবং শক্ত হাতে বিচার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোনো খুনিকে ইনডেমনিটি জারি করে বিচার থেকে বাঁচাননি, খুনকে জায়েজ করেননি। সন্ত্রাস রাজনীতি বিএনপির ঐতিহ্য। তাদের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ওপর তারা নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে তারা। ১৭ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের বোমা হামলা তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রেখেছিল বলেই সারাদেশে ৫০০ স্থানে বোমা হামলার মতো ঘটনা ঘটে। দেশের মর্যাদা তাদের কাছে গুরুত্ব পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগস্ট মানে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। বাঙালি জাতি তথা বিশ্ব ইতিহাসের কলঙ্কের দিন। এই মাসে আমরা হারিয়েছি আমাদের জাতির পিতা ও তার পরিবারের সবাইকে। এমন নৃশংস রাজনৈতিক ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। আবার এই মাসেই ১৭ আগস্ট ২০০৫ সালে মুন্সিগঞ্জ বাদে ৬৩ জেলার ৫০০ স্থানে বোমা হামলা করা হয়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা আছেন বলেই জাতির পিতা হত্যার বিচার হয়েছে। জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে আবার সে হত্যার বিচার যেন করতে না পারে, সেজন্য ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/