ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

আজ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৪ বছর

প্রকাশিত : ০৮:২৫ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৮:৫৪ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৭ সোমবার

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির চার বছর আজ। ঘটনার চার বছর পরেও, সেই দিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাড়া করে ফেরে, প্রাণে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের। এখনও সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন নি; কাটাচ্ছেন দুর্বিসহ বেকারতক্ব। অন্যদিকে একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার। ভবন মালিক রানাসহ জড়িতদের এখনো শাস্তি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। ভবিষ্যতে যেনো আর ভয়াবহতা দেখতে না হয় সেজন্য পোশাক শিল্পের উন্নয়নে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
২৪শে এপ্রিল, ২০১৩। ছয় তলা ভিত্তির উপর তৈরী নয় তলা ভবন, সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ে। নিমিষেই, স্ত ব্ধ হয়ে যায়, সেখানে থাকা তাজা প্রাণগুলো। ঘটনার আকস্মিকতায়, আর স্মরণকালের ভয়াবহ শিল্প বিপর্যয়ে হতভম্ব হয় পুরো বিশ্ব।
প্রাণ হারায়, সরকারী হিসেবে ১১শ ৩৮ জন; বে-সরকারী হিসেবে যা ১১শ ৭৪ জন। উদ্ধার অভিযান চলে, ২১ দিন ধরে। সনাক্ত করা যায়নি, লাশের ঠিকানা হয়, জুরাইন কবরস্থানে। এখনো নিখোঁজ আরো অনেকে।
রানা প্লাজা চ্যালেঞ্জের মুখে পরে, পুরো পোষাক শিল্প। ক্রেতারা নানান শর্ত আরোপ করে; জিএসপি সুবিধা বাতিল করে। টনক নড়ে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর। এর পর, শ্রম আইনের সংস্কার হয়েছে, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে কাজও চলমান। কিন্তু, চার বছর পরে এসে হিসেব নিকেশে দাড়ায়, যারা বা যাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ, তাদের অবস্থা কি?
অনেকেই, পাননি সঠিক চিকিৎসা। অনেকেই, এখনও বেকার। আবার এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তির অকাল মৃত্যুতে অনেক পরিবারের চলার পথ নেই। প্রকৃত ক্ষতি পূরন বলতে যা বোঝায় তা পাননি, বেশীরভাগ ক্ষতিগ্রস্তরা। ভবন মালিকসহ জড়িতদের সঠিক বিচার চান তারা।
ঐদিনের দুর্বিসহ স্মৃতি থেকে জীবনকে আলাদা করার আসলে আর সুযোগ নেই। কিন্তু, ঘটনার পরবর্তী রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধাগুলো যথাযথ ব্যবহার হয়নি। তবে ঘটনার পর পোশাক শিল্পখাতে কর্মপরিবেশ উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছেন বিশ্লেষকরা।
রানা প্লাজায় ধ্বসের ঘটনায় এই ঘটনা পুরো দেশের চিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না। তবে, আস্থা ফিরিয়ে আনতে ভবন মালিকসহ দায়ীদের বিচার সম্পন্ন করা জরুরী বলে মত এই বিশ্লেষকের।
ভবিষ্যতে যানে রানা প্লাজার মতো ট্রাজেডি আর পুনরাবৃত্তি না হয়স সেজন্য সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন এই বিশ্লেষকরা।