উয়েফার ফাইনালে পিএসজির সঙ্গী বায়ার্ন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ২০ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৮ এএম, ২০ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজির মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মানির এই ক্লাবটি গত রাতের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্সের ক্লাব লিঁওকে হারিয়ে ৭ বছর পর ফাইনাল নিশ্চিত করলো। এর আগের দিন প্রথম সেমিফাইনালে লাইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে পিএসজি।
বুধবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে পর্তুগালের লিসবনে সিঙ্গেল লেগের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের ক্লাব লিঁওকে ৩-০ গোলে হারায় বুন্ডেস লিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথমার্ধে সের্গেই জিনাব্রির জোড়া গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ালেন রবের্ত লেভানদোভস্কি।
সবশেষ ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছিল বায়ার্ন। সেবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল। এরপর গেল ৬ বছরে আর ফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের। যদিও তারা চার বার সেমিফাইনালে উঠেছিল এবং প্রতিবারই বিদায় নিতে হয়েছিল। অন্যদিকে ফরাসি ক্লাব পিএসজি এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠলো।
কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৮-২ ব্যবধানে উড়িয়ে আসা বায়ার্ন সেমিতেও নৈপুণ্য দেখিয়েছে। তবে লিঁওর বিপক্ষে সহজ কিছু সুযোগ নষ্ট হওয়ায় গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি তারা।
ম্যাচের শুরুতেই দুটি দারুণ গোলের সুযোগ পেয়েছিল লিঁও। ১০ মিনিটের মাথায় মেম্ফিস দেপাই গোলরক্ষককে কাটিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। এরপর কার্ল তোকো ইকাম্বিও সুযোগ পেয়েছিলেন গোলের। কিন্তু তার শর্ট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় মাঝ মাঠ থেকে জসুয়া খিমিচের বাড়িয়ে দেওয়া বল ডানদিকে পেয়ে যান বায়ার্নের জিনাব্রি। সেখান থেকে বামদিকে কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ে শটে বল জালে জড়ান।
৩৩ মিনিটের মাথায় লেভানডোফস্কির নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লিঁওর গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেস। কিন্তু বল চলে যায় সামনে থাকা জিনাব্রির কাছে। এবারও বাম পায়ের শটে নিশানা ভেদ করেন এই জার্মান ফুটবলার। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে বায়ার্ন।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে সোনালী সুযোগ পেয়েছিল লিঁও। এ সময় ডান দিকে বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে একা পেয়েছিলেন মুসা দেম্বেলে। তার দুই পায়ের ফাঁকা দিয়ে মারতে গিয়ে ডান পায়ে মেরে দেন মুসা। এর পর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে বায়ার্নের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিলিপে কৌতিনহো বল জালে জড়িয়েছিলেনও। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটা বাতিল হয়।
ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে গোল করেন বায়ার্ন তারকা লেভানদোভস্কি। কিমিচ ক্রসে ডি-বক্সে বল পাঠালে নিখুঁত হেডে জালে বল জড়ান পোলিশ এই স্ট্রাইকার। এর মধ্য দিয়ে ৩-০ গোল ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হলো বায়ার্ন মিউনিখের।
আর চ্যাম্পিয়নস লিগে একাদশবারের মতো ফাইনালে ওঠার আনন্দে মেতে উঠে বায়ার্ন শিবির। আগামী রোববার (২৩ আগস্ট) ফাইনালে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজির মুখোমুখি হবে বাভারিয়ানরা।
এএইচ/এমবি