জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ভারতীয় সেনা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের এক বছর ১৪ দিনের মাথায় ‘অবিলম্বে’ ১০০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) মোতায়েন পর্যালোচনার পর ভারতের স্বরাষ্ট্রর মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর আনন্দবাজারের।
গত বছরের ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। তার আগে উপত্যকা-সহ গোটা রাজ্য কার্যত নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘উপত্যকা থেকে ‘অবিলম্বে’ ১০০ কোম্পানি সিএপিএফ সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’
নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের আগে ওই কোম্পানিগুলিকে দেশের যে যে জায়গা থেকে উপত্যকায় আনা হয়েছিল, আবার সেখানে পাঠিয়ে দিতে হবে। যে ১০০ কোম্পানিকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ৪০ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ২০ কোম্পানি করে সিআইএসএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি। প্রতি কোম্পানিতে ১০০ জন করে জওয়ান থাকেন। আধাসেনা সরানোর কাজ চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
গত ডিসেম্বরে জম্মু-কাশ্মীর থেকে কেন্দ্র ৭২ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করেছিল। গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ থেকে দেড় হাজার আধাসেনা জওয়ানকে সরিয়ে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আধাসেনা সরানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি উপত্যকায় এখনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ও জঙ্গি তৎপরতা রয়েছে। মেহবুবা মুফতির মতো রাজনৈতিক নেত্রী গৃহবন্দি। উপত্যকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চলছে— এই পরিস্থিতিতে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
তবে সাম্প্রতিক সেনা হ্রাসের ফলে কাশ্মীরে সিআরপিএফের শক্তি দাঁড়াবে ৬০ ব্যাটেলিয়ন (প্রতি ব্যাটেলিয়নে থাকে ১ হাজার জওয়ান)। এছাড়াও থাকছে সিএপিএফের বেশ কিছু ইউনিট।
এআই/এমবি