চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হোন : যুবকদের প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ও কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে তাগিদ দেন। পাশাপাশি কৃষিজমি রক্ষা করে শিল্পায়নের দিকে জোর দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বডির ৭ম সভায় ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুব সমাজকে যেন আকৃষ্ট করতে পারি, তাদের যেন উৎসাহিত করতে পারি। শুধু চাকরির পেছনে ছোটা না, নিজেরা কিছু করে দেখানো, কাজ করা। সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিয়ে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। এখন অনেক বিনিয়োগ- এটা সব সময় এদেশ থেকে ওদেশে ঘুরতে থাকে। আমরা যত বেশি আনতে পারি আমাদের জন্য ভালো। কাজেই বিদেশি বিনিয়োগ যেমন আসবে, দেশেও আমাদের যাদের বিনিয়োগ করার সক্ষমতা আছে তারাও যেন বিনিয়োগ করতে পারে। আমাদের যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর তাদেরও আমরা যেন উৎসাহিত করতে পারি।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আমাদের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে। এই কথা মাথায় রেখে যে আমাদের শিল্পায়ন করতে হলে জায়গা সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। কারণ একটা কাজ করতে গেলে আমাদের সমস্যা হয়ে যায় ভূমি নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এই সমস্যাটা যাতে না থাকে সেটা মাথায় রেখে আবার পাশাপাশি ফসলি জমি, কৃষিজমি সেটাও রক্ষা করতে হবে। বনভূমি রক্ষা করতে হবে। এসব কিছু চিন্তা-ভাবনা করে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেই। ’
কৃষির সঙ্গে শিল্পায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে শিল্পায়নও আমাদের প্রয়োজন। শিল্পায়ন বা শিল্পের বিকাশ ছাড়া কোনো দেশ অগ্রগতি অর্জন করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে, ভূখণ্ডের দিক থেকে আমরা ছোট হলেও আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের যেমন কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে, আবার প্রকৃতির সঙ্গে আমরা যাতে চলতে পারি, কারণ বাংলাদেশ একটা ডেল্টা, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
পরিবেশ রক্ষা করে শিল্পায়ন করার দিকে জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এটাও একান্তভাবে অপরিহার্য, সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কৃষিজমি যাতে রক্ষা পায়, কৃষিজমি রক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে।
এসএ/