ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নর্দমায় ভেসে যায় লক্ষাধিক টাকা, খোঁজ মেলেনি মালিকের

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২৭ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২০ শনিবার

সেই নর্দমায় নেমে টাকা কূড়াচ্ছে লোকজন

সেই নর্দমায় নেমে টাকা কূড়াচ্ছে লোকজন

রাজশাহী শহরের নর্দমায় ভেসে যাওয়া প্রায় দেড় লাখ টাকার মালিক কে বা কারা- তার খোঁজ মেলেনি এখনো। তবে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ বলছে- দুপুরের দিকে তারা রাজশাহী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গত ১০ দশ বছরের পুরনো কাগজপত্র রেখেছিলেন। সেখান থেকে তার পাশের নর্দমায় কিছু কাগজপত্র পড়ে গেছে। সেই কাগজপত্রের মধ্যে টাকা থাকলে সেখান থেকে নর্দমায় পড়ে যেতে পারে।

এদিকে, টাকাগুলো কার তা জানতে পুলিশ তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এক থেকে দেড় লাখ টাকা নর্দমায় মিলেছে।

রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছি। ভাবতেই পারিনি পুরনো কাগজের ভেতর টাকা থাকতে পারে।

তিনি বলেন, কাগজগুলো ২০১০ সালের আগের। পচে গেছে। পোড়ানোরও উপায় নেই। তাই নর্দমায় ফেলে দেয়া হয়। পরে নর্দমা থেকে টাকা পাওয়ার খবর শুনে আমরাও সেখানে যাই। তারপর ঘটনা দেখি স্বচক্ষে। 

পরিবহন গ্রুপের এই নেতা আরও বলেন, পুরোনো কাগজপত্রের ভেতর সব মিলিয়ে দুই-তিন হাজার টাকা থাকলেও থাকতে পারে। আমরা ঠিক জানি না। কিন্তু খবর ছড়িয়েছে লাখ লাখ টাকা।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে সেখানে যাই। দেখি অনেক লোক নর্দমার পানিতে টাকা কুড়োচ্ছে। লোকজনের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে- লাখ খানেক টাকা তো হবে।

তিনি আরো জানান, এখনো আমরা জানি না টাকাগুলো আসলে কার। সড়ক পরিবহনের টাকা কি না তা-ও নিশ্চিত না। এইজন্য আমি নিজেই থানায় জিডি করে তদন্তটি অব্যাহত রেখেছি।

রাজশাহীতে শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে হঠাৎ করে সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে যে- রাজশাহী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে অবস্থিত নদর্মায় টাকা মিলছে। মুহূর্তে শত শত উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। অনেককেই নর্দমার ময়লা পানিতে নেমে টাকা কুড়াতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনে ১ হাজার, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ এবং ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন, দুইজন এবং পরে অনেক মানুষ নেমে পড়েন ড্রেনে।

টুলু নামের এক ভাংড়ি বিক্রেতা তার কুড়ানো টাকাগুলো রেখেছিলেন পকেটেই। তবে কত টাকা তিনি পেয়েছেন তা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন। 

আসলাম নামের আরেকজন জানান, তিনি এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন।

এনএস/