শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে নানা মত (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২০ রবিবার
করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের রয়েছে নানা মত। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। তবে স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা বলছেন, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ঠিক হবে না। এমন স্থবির সময়ে, অভিভাবক-শিক্ষকদের বেশিরভাগই বিশেজ্ঞদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
করোনা সংক্রমণে স্তব্ধ সব কর্মকাণ্ড। স্থবির শিক্ষা কার্যক্রমও। গত ৮ মার্চ দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ায় ২৬ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কয়েক মাস আগেও শিশুদের পদচারণায় মুখর ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষকদের জ্ঞানের আলোয়, সতীর্থদের বন্ধুতের ছাঁয়ায় তৈরি হচ্ছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এখন শ্রেণিকক্ষের প্রভাব নেই শিক্ষার্থীদেও মনোজগতে।
এমন অবস্থায় করোনা সংক্রমণের মধ্যেই শোনা যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রস্তাব গেছে প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার জন্য। তবে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বেশিরভাগই ক্লাসে যেতে চায় না। দু-একজনের মত ঘরে বিষন্ন হয়ে পড়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘স্কুলে গিয়ে যেভাবে বুঝা যেত, অনলাইনে অনেক কিছুই বুঝা যায় না। তারপরও যেহতু সংক্রমণ বন্ধ হয়নি তাই প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ঠিক হবে না।’
একই মত অভিভাবকদেরও। তারা বলছেন, ‘করোনার ওষুধ আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলা ঠিক হবে না। আমরা বড়রা বাহিরে বের হলে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে বের হচ্ছি। কিন্তু ছোট বাচ্চারা তো আর স্বাস্থ্যবিধি ঠিকভাবে মেনে চলতে পারবে না। তাই, কোনভাবেই এখন প্রতিষ্ঠান খোলা উচিত হবে না।’
আর শিক্ষকরা বলছেন, ‘শিশুরা অনেক চঞ্চল। দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় হই হুল্লুর করতে চাইবে, যেখানে থাকবে না স্বাস্থ্যবিধি। ফলে, করোনা মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শিশুরা অধিক হারে সংক্রমণের শিকার হবে।’
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দেয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরও। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘হুট করে খুলে না দিয়ে আমাদেরকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভালো হবে।’
এছাড়া কিছু শ্রেণিতে অটোপাস, আর সংক্রমণ কমে এলে বোর্ড পরীক্ষাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, অভিবাবক ও শিক্ষকরা।
এআই/এসএ/