নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে জাইকা’র ৮৮২ কোটি টাকার প্রকল্প
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২০ রবিবার
বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিভিত্তিক ব্যবসার প্রসারে প্রায় ৮শ’ ৮২ কোটি টাকা (১১.২১৮ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন) ব্যয়ে ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষিভিত্তিক ব্যবসার উন্নয়ন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে কর্মরত প্রতিষ্ঠান ও শিল্প উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে অর্থায়ন এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে। এর ফলে নিরাপদ ও গুণগতমানের খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ জোরদারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের ১, ২ ও ৮ নং লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
রবিবার (২৩ আগস্ট) জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি মি. ইউহো হায়াকাওয়া শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ তথ্য জানান।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি মি. কজি মিটুমরি, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্টাকচারাল ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এসএম আনিসুজ্জামান সংযুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে মি. ইউহো হায়াকাওয়া বলেন, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ এবং বহির্বিশ্বে গুণগত মানসম্পন্ন ও নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে গুণগতমান সুরক্ষা এবং ফুড ভ্যালু চেইনের উন্নয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহরের জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় একইসাথে নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা ও যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতের উন্নয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি বৃদ্ধি এবং পণ্য বৈচিত্রকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাইকা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণের আধুনিকায়ন, খাদ্য এবং খাদ্য সংশ্লিষ্ট শিল্পের অগ্রগতিতে জাইকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোর পণ্য বৈচিত্রকরণে জাইকা উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে বলেও মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী।
আরকে//