ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

অধিনায়কের শতকও বাঁচাতে পারলো না পাকিস্তানকে

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১২:১৫ এএম, ২৪ আগস্ট ২০২০ সোমবার

শতকের পরও হতাশ আজহার আলী।

শতকের পরও হতাশ আজহার আলী।

ক্যারিয়ারের প্রথম শতককে দ্বিশতকে রূপ দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন জ্যাক ক্রাউলি। ইংলিশ তরুণের দ্বিশতক ও জস বাটলারের শতকে ৫৮৩ রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিক দল। জবাবে এন্ডারসনের বোলিং তোপে এবং ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ইংলিশদের রান পাহাড়ে চাপা পড়ছে পাকিস্তান। আজহার আলীর শতক সত্ত্বেও ২৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ফলোঅনে পড়েছে দলটি।

আগের দিন শেষ বিকেলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই জেমস এন্ডারসনের বোলিং তোপের মুখে পড়ে সফরকারীরা। যাতে মাত্র ৬ রানেই উইকেট হারায় পাকিস্তান, দিন শেষ করে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে। আজ তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেও সেই এন্ডারসনের আগুনে বোলিংয়ের মুখোমুখি হয় সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। যাতে তাদেরকে হারাতে হয় আরও একটি উইকেট। অর্থাৎ ৩০ রানেই চতুর্থ উইকেট হারায় দলটি। যার সবকটি উইকেটই আপন ঝুলিতে পোরেন অভিজ্ঞ ওই ইংলিশ পেসার। 

এন্ডারসনের শিকার হয়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন শান মাসুদ (৪), আবিদ আলী (১), বাবর আজম (১১), আসাদ শফিক (৫) ও নাসিম শাহ (০)। সেই শেষ উইকেটটি নিয়ে ২৯তম বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট লাভের রেকর্ড গড়েন জিমি। মাঝে ব্রড ২টি এবং ওকস ও বেস একটি করে উইকেট লাভ করেন। 

এর মাঝেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১৪১ রানের অনবদ্য এক অপরাজিত ইনিংস খেলে একাই বুক চিতিয়ে লড়াই করেন অধিনায়ক আজহার আলী। যদিও তাকে কিছুটা হলেও সঙ্গ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ১৩৮ রান। আউট হন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান করে। এছাড়া বাকিরা ছিলেন কার্যত ব্যর্থ। যাতে মুখ থুবড়ে পড়ে পাকিস্তান। বাধ্য হয় ফলোঅনে পড়তে। 

এর আগে শনিবার (২২ আগস্ট) সাউদাম্পটনে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও সফরকারী পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ক্রাউলি। শুক্রবার প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিলেন ১৭১ রানে অপরাজিত থেকে। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে মাঠে নেমেছেন আগের দিনের ছন্দ ধরে রেখেই।

অভিষেক শতক হাঁকিয়েই ক্ষান্ত হননি ক্রাউলি, সেঞ্চুরিকে রূপ দিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। পাকিস্তানি বোলারদের তুনোধুনো করে শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২৬৭ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলে। ৩৯৩ বল মোকাবেলায় ৩৪টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ১টি বিশাল ছক্কা। যদিও চার-ছক্কার সংখ্যা বা পরিসংখ্যান ২২ বছর বয়সী এই তরুণের ব্যাটিং দৃঢ়তার চিত্র যথার্থভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম নয়!

কাউলির এমন অনবদ্য ইনিংসের পর আরেকটি সেঞ্চুরি পেয়েছে ইংলিশরা। রানে ফিরেছেন বাবা হারানো জস বাটলার। ১৫২ রান করে আউট হন এই উইকেট কিপার ব্যটসম্যান। তার ৩১১ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি চারের পাশাপাশি দুটি ছক্কার মার। 

মূলত এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৮৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। 

সফরকারী বোলারদের মধ্যে সফল ছিলেন দলে ফেরা ফাওয়াদ আলম। ৪৬ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট লাভ করেন তিনি।ইয়াসির শাহ ১৬০ রানে এবং শাহিন শাহ আফ্রিদিও ২টি করে উইকেট লাভ করেন। এছাড়া, নাসিম শাহ ও আসাদ শফিক ১টি করে উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হন।

এনএস/