ইয়াসমিন নারী নির্যাতনের প্রতীক (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ২৪ আগস্ট ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১১:৫৫ এএম, ২৪ আগস্ট ২০২০ সোমবার
২৫ বছর আগে কতিপয় পুলিশ সদস্যের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ইয়াসমিন আজও নারী নির্যাতনের এক প্রতীকী নাম। এত বছরেও কমেছে কি ধর্ষণ-নির্যাতন? পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছরই বেড়েছে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার ঘটনা। মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা বলছেন, নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রত নিষ্পত্তিই আলোর পথ দেখাতে পারে।
ইয়াসমিন। ১৩ বছরের এক কিশোরী। ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে দিনাজপুর বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের পর হত্যা করে টহল পুলিশের একটি দল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরসহ সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ যায় সাত জনের। ২০০৪ সালে দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক মইনুল হোসেনসহ ৩ জনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। সেই থেকেই প্রতিবছর ২৪ আগস্ট পালিত হয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস।
ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার আন্দোলনকারী ও নারী নেত্রী মনোয়ারা সানু বলেন, ‘ইয়াসমিন হত্যার বিচার পেয়েছি। কিন্তু এখনও আমাদের সমাজ থেকে আমরা খুন, গুম ও ধর্ষণ রোধ করতে পারি নাই।’
তবে ২৫ বছরে পাল্টায়নি সমাজের চিত্র। বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১০৭ জন, গণধর্ষণের শিকার ১৪ , ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে।
মহিলা পরিষদের দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক মারুফা বেগম বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমরা ধর্ষণের শিকার মেয়েদের বিচার পৌছে দিতে না পারছি ততদিন পর্যন্ত আসলে ইয়াসমিন আন্দোলনের মতো আন্দোলন অত্যন্ত জরুরী।’
মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা বলছেন, নারী নির্যাতনের মামলাগুলো নিষ্পত্তির হার খুবই কম। আর ধর্ষণের মামলাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আলোর মুখ দেখে না। আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সালমা আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা তনু হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন পেলাম না। ঘরে বাইরে রাস্তা ঘাটে বিভিন্ন জায়গায় এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা নারীরা নির্যাতন-ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।’
প্রত্যেক নির্যাতিতার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারলেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধ সম্ভব বলছেন অধিকার কর্মীরা।
এমএস/