কাজী মোনায়েম কিংবদন্তীতুল্য সাংবাদিক
আনোয়ার হোসেন শাহীন
প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২০ সোমবার
গৌরীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, প্রথিতযশা লেখক, সাংবাদিক অধ্যাপক কাজী এম এ মোনায়েম তার কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। এ জনপদের সাহিত্য সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতা অঙ্গনে পদচারণা তাঁকে অমর করে রাখবে। তিনি ছিলেন উত্তর ময়মনসিংহের সাংবাদিকতা জগতের উজ্জল নক্ষত্র। তাই তিনি কিংবদন্তিতুল্য সাংবাদিক।
গতকাল রোববার বিকেলে প্রয়াত সাংবাদিক কাজী মোনায়েম এর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউছারের সঞ্চলনায় স্মরণ সভায় ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার আজম জহিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ম. নূরুল ইসলাম, কমল সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শাহীন, রইছ উদ্দিন, সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হুদা লিটন, সাংবাদিক আরিফ আহমেদ, কাজী মোনায়েম এর কনিষ্ট পুত্র সানাউল হক রাজিব প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাজী মোনায়েম এর অনুজ কাজী এনামুল হক, সাংবাদিক ওয়াবেদুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল কাজী মোনায়েমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অবসান ঘটে। তিনি সত্তর দশকে ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৭৪ সনে ময়মনসিংহের বাংলার দর্পন, চট্টগ্রামের দৈনিক দেশ বাংলা, ১৯৭৬ সনে খুলনার দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং ১৯৭৭ সনে ঢাকার দৈনিক দেশবাংলা, ১৯৮০ সনে ১ জুলাই থেকে দৈনিক সংবাদের নিজস্ব সংবাদদাতা ছিলেন। পরে সরকারী কলেজে চাকুরি নিয়োগের কারণে সাংবাদিকতা জীবনের ইতি টানেন। তিনি দৈনিক সংবাদের মফস্বল সংবাদদাতা ইউনিটের যুগ্ন সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৭ সনে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের এডহক কমিটির সদস্য, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি গৌরীপুর উপজেলা ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুবর্ণ বাংলার উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রেস ইনিস্টিটিউট এর সাংবাদিক অভিধান ২ খণ্ডে ৪৯ নং পৃষ্ঠায় তার জীবনী লিপিবদ্ধ রয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে তিনি ছিলেন আপোষহীন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সময় ১৯৮৭ সনে এরশাদ সরকার বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হন। সাংবাদিকতায় কাজী মোনায়েম ১৯৮৩ সালে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ কর্তৃক কৃতি সাংবাদিক পুরস্কার, ২০০৩ সালে ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ বিএনসিসির শিক্ষক হিসাবে পুরস্কার লাভ ও ২০১৪ সালে বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার এওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি ‘গৌরীপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও কিংবদন্তী’ নামে ২০১৫ সালে মূল্যবান গ্রন্থ প্রকাশ করেন।
এমবি//