যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ বেশি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৮ এএম, ২৫ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার
বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ হয়েই চলেছে আক্রান্ত ও প্রাণহানির মিছিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে, গত একদিনে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতা লাভ করেছেন অধিক সংখ্যক রোগী। যার অধিকাংশই ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির বাসিন্দা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা হানা দিয়েছে ৪১ হাজার ৪৮৪ জন মানুষের দেহে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৬৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে প্রাণ ঝরেছে ৫১০ জনের। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ১৮১ হাজার ১১৪ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে, গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ৫০ হাজার ৯১৮ জন। যেখানে পুনরুদ্ধার হওয়ার সংখ্যা ৩২ লাখ ১৮ হাজারের ছুঁই ছুঁই।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এখন ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৬ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২৫৭ জনের।
সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯ হাজারের কাছাকাছি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১১ হাজার ৮৭১ জনের।
ফ্লোরিডায় সংক্রমণ এক লাফে ৬ লাখ ৩ হাজারের কাছাকাছি। ইতোমধ্যে সেখানে ১০ হাজার ৩৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ সাড়ে ৬১ হাজার। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৫ হাজার ১৫৬ জন মানুষের।
ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ ২৩ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৯৭ জন।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ১ লাখ সাড়ে ৯৫ হাজার। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৫১ জনের। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি।
এছাড়া, অ্যারিজোনা, ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।
এআই/ এসএ/