ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভ্যাট অনিয়ম বন্ধে চালু হলো ইএফডি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৫ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২০ বুধবার

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ ও ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে। পরীক্ষামুলকভাবে প্রথম পর্যায়ে আজ রাজধানী ও চট্টগ্রাম শহরের ১০০ দোকানে ইএফডি মেশিন বসানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ইএফডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ভ্যাটের অনিয়ম বন্ধ করতে ইএফডি চালু করা হচ্ছে। ইএফডি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ইএফডি মেশিনের ফলে কথিত হয়রানি দূর হবে এবং রাজস্ব আহরণের ব্যয় ও ব্যবসায়িক খরচ কমবে। কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকবে না। রাজস্ব আদায়ে গতি আশার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অটোমেশনের আওতায় আসবে।

তিনি বলেন, ‘ইএফডি মেশিন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে দেশবাসীর কাছে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ১০০ মেশিন বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন মাসের মধ্যে এক হাজার ইএফডি মেশিন বসানো হবে। আগামী জুনের মধ্যে এক লাখ ইএফডি মেশিন বসানো হবে।’

ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ দিতে ভ্যাটদাতাদের পুরস্কৃত করার বিষয়টি উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভোক্তার টেলিফোন নম্বর আমাদের কাছে সংরক্ষিত থাকবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ভোক্তাকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার পুরস্কার দেয়া হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় ৮০টি এবং চট্টগ্রামে ২০টি ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য সাড়া না পাওয়া গেলেও পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ফলে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। তবে রিটার্নের ক্ষেত্রে তেমন সাড়া পড়েনি। আয়কর রিটার্ন এলে বোঝা যাবে কি পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে।’

উল্লেখ্য, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে রাজস্ব আহরণের বিষয়ে রহমাতুল মুনিম বলেন, আমরা সাধারণভাবে রাজস্ব আহরণের চেষ্টা করছি।তবে কাউকে হয়রানি করে নয়। আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি বকেয়া ও মামলা নিস্পত্তির মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের।

এসি