ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

রাজশাহীর ১৩ পৌরসভায় ডিসেম্বরে ভোট 

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০ বুধবার

রাজশাহীর ১৪টি পৌরসভার মধ্যে আগামী ডিসেম্বর মাসে ১৩টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন।

রাজশাহী জেলার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট ও গোদাগাড়ী বাঘা উপজেলার আড়ানী, তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা ও তানোর, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট, বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর ও ভবানীগঞ্জ, চারঘাট, দুর্গাপুর, পুঠিয়া এবং পবা উপজেলার কাটাখালী ও নওহাটা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র বাঘা উপজেলা নির্বাচন পরে হওয়ায় এ দফায় নির্বাচন হচ্ছে না। 

জানা গেছে, এগুলোয় সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ হিসেবে চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা। আর সময়ের অঙ্ক কষেই নেতারা মাঠে নেমেছেন। পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন নিতে বেশ কয়েক মাস ধরে বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা লবিং ও গ্রুপিং শুরু করেছেন। 

জেলা ও কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদ পেতে তারা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। আর স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন পেতে বাড়িয়েছেন সাংগঠনিক তৎপরতা। সর্বশেষ ইদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অনেকে আলোচনায় এসেছেন। ফলে রাজশাহীর পৌরসভাগুলোতে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা জানান, আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। দলীয়ভাবে যাদের মনোনয়ন দেয়া হবে, নেতাকর্মীরা তাদের পাশেই থাকবেন।

পৌরসভা নির্বাচন সম্পর্কে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার জানান, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না তা দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত দেবে। তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপি নেতারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, গোদাগাড়ী পৌরসভায় বর্তমান মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু এবং ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র আনোয়ারুল চৌধুরী ও গোলাম কিবরিয়া রুনুর নাম শোনা যাচ্ছে। 

গোদাগাড়ী উপজেলার অপর পৌরসভা কাঁকনহাটের বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মজিদ আবারও নির্বাচন করবেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে রয়েছেন যুবলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ হিল কাফি। আর বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক ও হাফিজুর রহমান। 

তানোরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ইমরুল হক এবং আবুল বাশার সুজনের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। তানোরের অপর পৌরসভা মুণ্ডুমালার বর্তমান মেয়র তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী আর নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন গোলাম মোস্তফা, সাইদুর রহমান ও শরিফ খান। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মোজাম্মেল হক, ফিরোজ কবির ও আতাউর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। 

এমবি//