খাটের নিচে ভাই-বোনের রক্তাক্ত লাশ, মামা আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:২৬ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৯:২৭ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০ বুধবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামে নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে শিফা আক্তার (১৪) ও কামরুল হাসান (১০) নামে দুই ভাই-বোনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাদের মামা বাদল মিয়াকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে রাজধানী থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে গত সোমবার (২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের প্রবাসী কামাল মিয়ার ঘরের দুটি কক্ষের খাটের নিচ থেকে তার কন্যা শিফা আক্তার ও পুত্র কামরুল হাসান এর জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিফা আক্তার বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং কামরুল হাসান সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী জানান, ওইদিন নিহতদের মামা বাদল মিয়া প্রবাসী কামাল মিয়ার বাড়িতে ছিলো। লাশ উদ্ধারের পর পরই সে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সালাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহতদের মামা বাদল মিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে বাঞ্ছারামপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে বাদল মিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। খুনের ঘটনায় এখনো মামলা কোন হয়নি।
ওসি আরও বলেন, ভাই-বোন খুনের ঘটনায় আমরা নিহতের মা-বাবাসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় নিখোঁজ হয় উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান। পরে কন্যা শিফাকে ঘরে রেখে ছেলে কামরুলকে খুঁজতে বের হন তার মা হাসিনা আক্তার ও বাবা কামাল হোসেন। বিকেলে তাঁরা ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে এলাকায় মাইকিংও করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু কামরুলের কোনো খোঁজ না পেয়ে তারা বাড়িতে এসে দেখেন কন্যা শিফাও নিখোঁজ। পরে তারা শিফাকেও খোঁজা শুরু করেন।
পরে রাত ৮টার দিকে মা হাসিনা বেগম নিজ ঘরের দুটি কক্ষের খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় শিফা ও কামরুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এনএস/