ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

শিক্ষানীতি সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৪ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১১:৪৭ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০ বুধবার

শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি- সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি- সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর আগে এ শিক্ষানীতি করা হয়েছিল। এই সময়ে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।’ বুধবার পরিকল্পনা কমিশন আয়োজিত ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘এডুকেশন টেকনোলজি হ্যান্ড এগ্রিকালচার ট্রান্সফর্মেশন’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে শিক্ষানীতিকে সংশোধন করা, পরিমার্জন ও সংযোজন করার। তাই সরকার শিক্ষানীতি সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন প্রয়োজন শিক্ষার গুণগত মান অর্জন। শিক্ষার সকল পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একটি সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সরকার সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং আর্টস অ্যান্ড ম্যাথস (স্টিম)-এর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি করার পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ তৈরি করতে। এজন্য সরকার সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, কমিউনিকেশন স্কিল, টিম বিল্ডিং, ক্রিটিক্যাল থিংকিং প্রবলেম সলভিংসহ বিভিন্ন সফট স্কিলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।’

অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমাদের কর্মক্ষেত্র এত পরিবর্তন হবে যে, বর্তমানে অর্জিত জ্ঞান হয়তো ভবিষ্যতে আর প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে কর্মজীবীদের পক্ষে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে কোনও কর্মজীবী যেকোনও সময় যেকোনও পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে রিস্কিল এবং আপস্কিল করতে পারে। সে যেন অনলাইনের মাধ্যমে শিখতে পারে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সে সুযোগ রাখতে হবে।’

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. শামসুল আলম। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদরা যুক্ত ছিলেন।

এমএস/