ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

হোটেল কারখানায় প্রতিবন্ধী শ্রমিকের লাশ, আটক ৪

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার

বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার মালগুদাম এলাকাস্থ মিষ্টি ও দই তৈরীর কারখানায় শিমুল হোসেন (৩২) নামের এক প্রতিবন্ধী হোটেল শ্রমিক খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত শিমুল পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের ইয়ার্ড কলোনীর মাস্টারপাড়া মহল্লার শাহাজাহান আলীর ছেলে। এই ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে তিন হোটেল শ্রমিকসহ ৪ জনকে আটক করেছে।

জানা গেছে, প্রতিবন্ধী শিমুল সান্তাহার পৌর এলাকার ষ্টেশন রোডের বিসমিল্লাহ হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে আসছিল। পাশের মালগুদাম সড়কস্থ ওই হোটেলের মিষ্টি ও দই তৈরীর কারখানায় অন্যান্য শ্রমিকের সাথে শিমুল রাত্রি যাপন করতেন।

বুধবার (২৬ আগস্ট) রাতের কোন এক সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পাশের দোকানের দেলোয়ার হোসেন নামের একজন শিমুলকে ডাকতে গেলে তার কোন সাড়া না পাওয়ায় দরজার ফাঁক দিয়ে শিমুলের দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন ডেকে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মুখে বালিশ ও কাঁথা দিয়ে জড়ানো অবস্থায় শিমুলের লাশ উদ্ধার করে। 

সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই আব্দুল ওয়াদুদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- শিমুলকে বালিশ ও কাথাঁ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে থাকতে পারে দুর্বৃত্তরা।

বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিক এমরান হোসেন বলেন, শিমুল শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং অত্যন্ত নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। সে সব সময় মজুরীর টাকা নিজের কাছে রাখতেন এবং তার দামি একটি মোবাইল সেট ছিল। সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। ধারনা করা হচ্ছে- টাকা ও মোবাইল ফোনের কারণে কেউ তাকে হত্যা করতে পারে। 

আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় শিমুলের বাবা শাহাজাহান আলী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এনএস/