নাগরে কুমির আতঙ্ক, মাছ ধরা বন্ধ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলাস্থ ভারত সীমান্ত সংলগ্ন নাগর নদীতে কুমিরের দেখা মিলেছে। এরপর থেকে জেলেরা প্রাণের ভয়ে এক সপ্তাহ যাবত মাছ ধরতে নামছেন না নদীতে। আতঙ্কে আছেন গ্রামবাসী।
নাগর নদী সংলগ্ন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিটালডোবা গ্রামের সমিরউদ্দিন জানান, সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে স্থানীয়রা ওই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ একটি কুমির ভাসতে দেখে। কুমির দেখে জেলেরা চিৎকার করলে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ছুটে যায়।
উত্তর নিটালডোবা গ্রামের হালিমার মেয়ে লাবনী জানান, তিনি দূর থেকে কুমিরটির ছবি তুলেছেন। তবে অনেক মানুষের সমাগম দেখে মুহূর্তের মধ্যে কুমিরটি পানিতে ডুব দিলে আর দেখা যায়নি। এর ৬-৭ দিন আগে হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী এলাকায় একই নদীতে কুমির দেখতে পায় স্থানীয়রা।
তবে কুমিরটি কোথায় অবস্থান করছে বা তারা সংখ্যায় ঠিক কত- তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-এর ডাবরী বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন, পাঁচ-ছয়টা কুমিরের দেখা মিলেছে। কুমিরগুলো লম্বায় প্রায় ৬-৭ ফুট। কোনটা আবার আকারে ছোট। তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় জেলেদের নদীতে নামতে সতর্ক করেছেন।
এদিকে, এ বছর বন্যায় এলাকা প্লাবিত হয়, বন্যার পানিতে কুমিরগুলো ভারত থেকে এই নদীতে ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন গেদুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ। তবে, এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় কুমিরগুলো নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের জন্য ছুটোছুটি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বরুয়াল গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, এলাকার ৫০টি পরিবার নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায়। কুমির দেখে এখন তারা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছে না। এছাড়া কৃষকরা নদীর ওপারে গিয়ে খেতখামারের পরিচর্যা করতে এবং গবাদিপশুকে ঘাস খাওয়াতে যেতেও ভয় পাচ্ছে।
তবে অভয় দিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ বলেন, তিন দিন আগে কুমিরের দেখা মিললেও এখন তা নেই।
জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, সরেজমিনে দেখে জেলেদের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
এছাড়া, বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।
এনএস/