ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কৃষি ও শিল্প খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার

বাংলাদেশ উন্নয়নের গতিধারায় এগিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময়ে করোনাভাইরাস বিশ্বের অন্য দেশের মতো এদেশেও বিশাল আঘাত হেনেছে। সরকারপ্রধান প্রথম থেকেই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করে চলেছেন। কৃষি খাতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। যে ৩১টি ধাপে অর্থনীতিকে সুসংহত করতে চেয়েছিলেন, সেগুলো কিন্তু উন্নয়নের গতিময়তা আনার ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা বাস্তবায়ন সাপেক্ষে পালন করেছে। 

দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ বিশেষত কৃষি ব্যাংক এবং রাকাব (RAKUB) এখন পর্যন্ত সরকারের ঘোষিত কৃষকদের প্রণোদনা কিংবা স্বউদ্যোগী হয়ে কৃষি খাতে কিভাবে উন্নয়ন করা যায়; বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসসহ নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা যায় কৃষি খাত এবং কৃষি নির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠানে- সে ব্যাপারে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অথচ বঙ্গবন্ধু যখন কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন তখন গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য আমানত এবং ঋণের ওপর বিশেষ সুদের হারের ব্যবস্থা করে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে সচল করতে চেয়েছিলেন। 

ক’দিন আগে সর্বশেষ মুদ্রানীতিটি দেখছিলাম। অবাক হলাম, যেখানে সরকারপ্রধান দিবারাত্রি পরিশ্রম করে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, সেখানে মুদ্রানীতিটি সাদামাটা গোছের এবং ক্রান্তিকালে বাস্তবায়নে কোন সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে ব্যর্থ হয়েছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এটি যেন দায়সারা গোছের। প্রকৃত মুদ্রানীতিতে সাধারণ গ্রামীণ পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সবাইকে অঙ্গীভূত করার প্রয়াস গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। ভাবছিলাম, আর কতকাল দেশের মুদ্রানীতি যা ঘোষণা করা হয়, তা কেন বাস্তবায়নযোগ্য হয় না? 

কোভিড-১৯ এবং নিউ নর্মাল সিচুয়েশনে গ্রামীণ অঞ্চলে উদ্যোক্তা তৈরি করতে গেলে তথ্য ভাণ্ডারের প্রয়োজন হয়। সেই তথ্য ভাণ্ডার ৪৯২টি উপজেলায় কিভাবে ব্যাংকিং সেক্টর তৈরি করে ডিসেমিনেশন অব ইনফরমেশন সত্যিকার অর্থে করতে পারে, তার একটি দিকনির্দেশনা থাকা দরকার। পাশাপাশি কোভিড, আমফান এবং দীর্ঘমেয়াদী বন্যায় সাধারণ মানুষের পাশে ব্যাংকসমূহ সিএসআর নিয়ে কিভাবে কাজ করতে পারে, তারও সঠিক পন্থা দরকার।

দেশে এ মুহূর্তে ৫৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে একমাত্র রাকাব ছাড়া প্রতিটির প্রধান কার্যালয় হচ্ছে ঢাকাভিত্তিক। অথচ ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যদি বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে স্থানান্তরিত করা যেত, তবে অন্তত স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগত। 

১৯৯৮-এর বন্যার সময়ে কৃষি ব্যাংক এবং রাকাব যেভাবে কাজ করে বন্যা পরবর্তী বিধ্বংসী অবস্থা না হওয়া থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচিয়েছিল, এখন কৃষি ব্যাংক আর আগের সেই কৃষি ব্যাংক নেই। সরকার যে কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে, যেটির অধিকাংশই এখনও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, তা যদি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাকাব এবং পিকেএসএফের মাধ্যমে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের মধ্যে মুজিববর্ষে বিতরণ করা যায়, তবে জননেত্রী শেখ হাসিনার পেটে-ভাতে ‘রাজনীতির অর্থনীতির’ দর্শন বাস্তবায়িত হবে। 

কৃষি নির্ভর প্রকল্পে কেবল ঋণ দিলে হবে না, বরং ঋণের অর্থ কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে, পণ্য কিভাবে তৈরি করতে হবে, স্থানীয় পর্যায়ে পণ্যের চাহিদা আছে কি না, আবার যে পণ্য এক স্থানে তৈরি হচ্ছে, আরেক স্থানে ওই ব্যাংকের বা অন্য ব্যাংকের যে শাখা আছে, সেখানে পণ্যটির বাজারজাতকরণ ও বিপণনের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

কিছুদিন আগে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছি যে, অধিকাংশ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছোট ঋণগ্রহীতাদের জন্য তাদের কাজ বেশি করতে হবে বিধায় প্রকল্প গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক। তারা ছোট মার্কেটে কত বড় ঋণগ্রহীতাকে আকর্ষণ করতে পারবে তার জন্য রশি টানাটানিতে ব্যস্ত থাকে। অথচ যারা প্রসপেকটিভ উদ্যোক্তা হতে পারেন, তাদের জন্য কলোটারাল ফ্রি ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা দরকার- সহায় সম্পত্তির বদলে মেট্রিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট এবং পাসপোর্ট জমা রেখে একটি সীমিত অংশ পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে ঋণ দেয়া দরকার।

পাশাপাশি ঋণ দিলেই হবে না, ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ওই অঞ্চলের কি ধরনের পণ্যের চাহিদা রয়েছে, কেমন পণ্য সরবরাহ করতে হবে, তার মধ্যে একটি সমন্বয় সাধন করে তরুণ শিক্ষিত উদ্যোক্তাদের এ কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত করতে হবে। তারা পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সরকারের সর্বাত্মক সুযোগ-সুবিধা পাবে। কিন্তু এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বাস্তবায়নযোগ্য আইন প্রয়োজন। 

আসলে ব্যাংকাররাও সমস্যার মধ্যে থাকে। যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যারা ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কাজ করে থাকেন, তারা যদি চাকরিও ছেড়ে দেন, তারপরও যে পরিমাণ ঋণ তারা বিতরণ করেছিলেন  তা আদায়ের জন্য দায়ী থাকেন। আমাদের দেশে এ ধরনের আইন নেই। ফলে সমস্যা হচ্ছে- হয়ত ১৯৯৯ সালে কেউ কোন ঋণ মঞ্জুর করল, তখন ওই প্রতিষ্ঠানটি ভাল ছিল এবং প্রতিষ্ঠানের যথাযথ মূল্যায়নও করা হয়েছিল। তখন ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টও খুব ভাল ছিল। কিন্তু হয়ত পনেরো/ষোলো বছর পর দেখা যায়, ১৯৯৯তে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছিল, এটি বেড়ে পরবর্তী ঋণ সংশ্লিষ্ট অফিসারের সুপারিশে এক বছর মেয়াদী ক্যাশ ক্রেডিটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা, সে সময়ে কিন্তু ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দেখা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। 

আশ্চর্যের বিষয়- তখন ওই যে ১৯৯৯ থেকে শুরু করে ২০১৬ পর্যন্ত যারা যারা সংশ্লিষ্ট ছিল, সবাইকে ঢালাওভাবে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু এটি তো হতে পারে না। প্রতি বছর নবায়নের সময়ে ইনডিভিজুয়্যাল কেস হিসেবে ওই ঋণের হিসাব করা দরকার ছিল এবং নবায়নের সময়েই সমস্ত কিছু পূর্ব পশ্চাৎ বিবেচনায় এনে ঋণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আইনের সংশোধন প্রয়োজন। নচেৎ ঢালাও অভিযোগের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যার সময়ে ঋণটি অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে দেয়া হয়েছে তার ঘাড়েই দোষ চাপে না, এটি রীতিমতো কেসটিকে দুর্বল করে দেয়। অথচ সবাই জানে ক্যাশ ক্রেডিট লিম এলপিআর- এগুলো হচ্ছে মেয়াদী ঋণ। 

বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকে এমডির বেতন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে হচ্ছে- পনেরো থেকে ২০ লাখ টাকা মাসিক। এত উচ্চ বেতন যে দেয়া হয় তা কিন্তু জনগণের সঞ্চিত আমানত থেকেই আসে। এ জন্য আশা করা হয়েছিল যে, বর্তমান পেনডেমিকে অন্তত সরকারি বেতন স্কেলের সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকের বেতন স্কেলের সমন্বয় সাধন করতে হবে। কিন্তু উল্টো দেখা গেল- অনেককে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। যা রীতিমতো অন্যায্য। কারোর চাকরি স্বাভাবিক নিয়মে সৎ, নির্ভরযোগ্য ও কর্মউদ্যোগী থাকলে কর্মচ্যুত করা উচিত নয়। এতে বরং প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে যাওয়ার পথে ক্ষতি হয়। 

বস্তুত বর্তমান কোভিড সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বায়নের তত্ত্ব থেকে আংশিকভাবে হলেও সরে আসতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে বটমআপ এ্যাপ্রোচ এবং টপ ডাউন এ্যাপ্রোচের মধ্যে ভার্টিকেল এবং হরাজাইনটাল কোর্ডিনেশন দরকার। স্বল্পমেয়াদী সাহায্য সহায়তা দরকার হচ্ছে- কেবল হঠাৎ করে সামষ্টিক অর্থনীতির চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যে ধাক্কা লেগেছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে গ্রামীণ প্রতিটি জনপদে সততা, নিষ্ঠা এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও তথ্যের আদান-প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় পুঁজির সংরক্ষণ ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। 

যখন দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হয় তখনই জনকণ্ঠে লিখেছিলাম যে, এজেন্ট ব্যাংকিং দেশের অভ্যন্তরে হলেও দরিদ্র মানুষের পুঁজি ধনবান মানুষের পুঁজি পাচারের একটি মাধ্যম হবে। বাস্তবে তাই ঘটছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলে বিনিয়োগ হচ্ছে ৬% মাত্র। আমি তখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সঞ্চয় বিনিয়োগে ভারসাম্য আনয়ন করার জন্য কমিউনিটি ব্যাংকিং মডেল বা সামাজিক উন্নয়ন মডেল ডেভেলপ করি। দুর্ভাগ্য যে, আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের বদলে পৃথক রেগুলেটারের কথা বলায় এটি ধামাচাপা পড়ে যায়। বরং সাব ব্যাংকিং খোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। এটি আসলে কৈ মাছের তেল দিয়ে কৈ ভাজার মতো দশা। 

একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক মোহাম্মদপুর এলাকায় সাব ব্যাংকিং খুলছে, যেখানে প্রায় ২২টি ব্যাংকের শাখা ঢাকার মোহাম্মদপুরে আছে। সঞ্চয় বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামাজিক পুঁজিকে ওই স্থানে আবদ্ধ রাখার স্বার্থে কর্মসংস্থান ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এবং পল্লী ডাক খরচে এর আওতায় আনার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং রাকাব এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংককে আনতে প্রস্তাব করে মডেল তৈরি করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের কথা। এ ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে তিনি সামাজিক পুঁজি গঠনের কাজে লাগাতে বলেছিলেন। 

তার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়াশোনা করে দেখলাম ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে আনতে হলে সামাজিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অবশ্য ঋণগ্রহীতাদেরও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। নর্মাল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যাংকারদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও ঋণগ্রহীতাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা নেই। অথচ পিকেএসএফ এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এনজিওগুলো সুবিধাভোগী ঋণগ্রহীতাদের কিন্তু প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। 

প্রধানমন্ত্রী দেশে উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এক্ষেত্রে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে উদ্যোগ অর্থনীতিতে অনার্স, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করেছে। এটি দেশ এবং জাতির জন্য একট মহতী কর্মকাণ্ড। উদ্যোক্তা অর্থনীতিকে হাতে কলমে শেখানোর জন্য পিকেএসএফের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পাশাপাশি একটি এন্ট্রি প্রিউনিউরিনাল ইকোনমিক ইনকিউরেটার এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য তথ্য ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স গ্রহণ করেছে। আসলে বর্তমান যুগে উদ্যোক্তা হতে হলে শর্টকাট পদ্ধতি নেই। প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা গ্রহণ এবং বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ ও কৃষি শিল্পখাত এবং ব্যাংক-বীমা খাত সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য ডিসেন্ট্রালাইজড পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। আমদানি বিকল্পায়ন শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ ট্যাক্স হলিডে দিতে হবে। সরবরাহজনিত সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংককে আমদানি বিকল্পায়ন শিল্প কিভাবে গড়ে তোলা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমদানি বিকল্পায়ন শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, তাদের অর্থায়ন, পণ্য বিপণন এবং বাজার জাতকরণ ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কোলাটারাল ফ্রি লোনের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মসংস্থান ব্যাংককে তাদের কর্মকাণ্ড প্রসারিত করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠার পর তারা কি ভুল করেছে, তা সংশোধন করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকসমূহকে প্রবাসীরা দেশে ফিরলে যাতে আত্মনির্ভর হতে পারে, সে জন্য বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে।

লেখক: ম্যাক্রোঁ ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট এবং আইটি এক্সপার্ট

এনএস/