ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রাজিলের পরই এখন ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২০ রবিবার

ভারতে প্রাণঘাতি করোনা ক্রমেই আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। যেখানে প্রতিদিনই প্রায় হাজার মানুষের প্রাণ ঝরছে। এতে করে মৃতের সংখ্যায় উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোকে ছাড়িয়ে শীর্ষ তিনে উঠেছে দেশটি। ফলে, প্রাণহানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিলের পরই এখন দিল্লি। অপরদিকে, গড়ে পৌনে এক লাখ মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৫ লাখ। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসের শুরুতে সংক্রমিতে ব্রাজিলকেও ছাড়িয়ে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। 

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ হাজার ৭৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনের নিরিখে সর্বোচ্চ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই চার রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ)। 

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৯৪৮ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৪৯৮ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। যা তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি পৌনে ১৪ লাখ ৬১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়  ১০ লাখ ৫৫ হাজারের অধিক।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। আর প্রাণহানিতে চতুর্থ।

এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ১০৩ জন মানুষের। 

আক্রান্ত ও প্রাণহানিতে রাজধানী দিল্লিকে টপকানো তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৭ জন। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ সাড়ে ১৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। 

তিনে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশেও করোনার শিকার ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৩ হাজার ৭৯৬ জন মানুষের। 

দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৪০৪ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ২৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যা ভারত সরকারকে স্বস্তি দিচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি। 
এআই/এসএ/