ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় থেমে আছে জনশক্তি রপ্তানি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২০ রবিবার

বিশ্ব মহামারি করোনা থামিয়ে দিয়েছে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি। এই খাতটি এখন বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশে ফেরত এসেছে ৫১ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। কাজ হারিয়েছে এক লাখেরও বেশি প্রবাসী কর্মী। তাদের অনেকে দেশে ফিরে আসতে পারেন বলে আশঙ্কা আছে। সংকট থেকে বের হতে বিকল্প শ্রমবাজার খুঁজতে শুরু করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশে শ্রমিক প্রেরণ করে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। এর পরের অবস্থানে ওমান, কাতার, জর্ডান ও কুয়েত। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরও বাংলাদেশের জন্য ভালো বাজার হয়ে উঠেছে। তবে করোনার থাবায় জনশক্তি রপ্তানিতে রীতিমতো হোচট।
 
২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখেরও বেশি কর্মী চাকরি নিয়ে গেছে বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে সৌদি আরবে সর্বোচ্চ চার লাখের মতো, ওমানে ৭২ হাজার ও কাতারে গেছেন ৫০ হাজারের কিছু বেশি। চলতি বছরে ১০ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য থাকলেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুই মাসে বিদেশ গেছেন প্রায় ৭০ হাজার। ভিসা প্রক্রিয়া শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতিতে আটকে গেছে আরও লক্ষাধিক শ্রমিকের যাত্রা। 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কর্মী প্রেরণ। সৌদি আরবের বাজার বন্ধ হলে জনশক্তি রপ্তানিতে বড় ধ্বস নামার আশঙ্কা জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার।

বায়রা প্রেসিডেন্ট বেনজির আহমেদ বলেন, এখানে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ভিসার মেয়াদ না বাড়ালে তারা যেতে পারছে না। আবার ভিসার মেয়াদসহ সবই আছে ওখানকার এমপ্লয়ীয়ার হয়তো তাদের নিচ্ছে না। নানান সংকটে পড়ে গেছে এই সেক্টরটা।

করোনায় বিভিন্ন দেশে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন আরও লক্ষাধিক শ্রমিক। তেলের দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে শ্রমবাজারে। এ অবস্থায় চীন ও জাপানসহ ইউরোপের দেশগুলোতে বিকল্প বাজার খুঁজছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, দুইটা নতুন মার্কেট যদি ধরতে পারি তবে ওই মার্কেটের তো কর্মী নেয়ার অবস্থা থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত ওই অবস্থা তৈরি হয়নি। যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি।

সংকট কাটবে, সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী।

মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, দক্ষ শ্রমিকের লক্ষ্যেই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ট্রেনিং ব্যবস্থাপনা যে কোন মাসের মধ্যে আমরা শেষ করবো। 

 

এএইচ/এসি