ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ওসি প্রদীপের সাক্ষাৎ মেলেনি, আরও সময় চায় তদন্ত কমিটি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৮:২৫ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২০ রবিবার

কথা বলছেন তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।

কথা বলছেন তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপের সাক্ষাৎ এখনো পায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। তাই তৃতীয়বারের মতো সময় বাড়ানোর আবেদন করবেন তারা। রোববার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহা নিহতের ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম আমরা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পেরেছিলাম। ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্ধারিত তারিখ ছিল ১৯ আগস্ট। কিন্তু আদালতের নির্দেশক্রমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। সেই থেকে আমরা চেষ্টা করে আসছি প্রদীপের সঙ্গে সাক্ষাতের। কিন্তু সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দুইবার আমরা আদালতকে জানিয়েছি। গত ২৭ তারিখেও আমরা একটি আবেদন করেছিলাম, আদালত সেটি নথিভুক্ত করেছে। আগামীকাল ৩১ আগস্ট আমাদের বর্ধিত সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। একইভাবে ওসি প্রদীপেরও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হচ্ছে। তাই আমরা সভা করে আরো সময়ের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে যদি আমাদের সময় বৃদ্ধি করে দেয়, তাহলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর ওসি প্রদীপের সাক্ষাৎ পাবো।

এর আগে রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউজে জরুরী সভা করেন মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। 

মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরমধ্যে এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্য পৃথকভাবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। যে কারণে এ তিন পুলিশ সদস্য কারাগারে রয়েছেন।

এমএস/