বেপরোয়া লেগুনা ড্রাইভিংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা
প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৮ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার
দুরন্ত শিশু-কিশোর চালকদের বেপরোয়া লেগুনা ড্রাইভিংয়ে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট ও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে গণপরিবহন লেগুনা। আইন আছে-প্রশাসন আছে, তবু দেখার যেন কেউ নেই। চাঁদাবাজি আর দক্ষ চালকের অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
যে বয়সে খেলনা গাড়ি নিয়ে খেলার কথা, সে বয়সে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর ব্যস্ত পথে গাড়ি চালাচ্ছে শিশু কিশোররা। কাঁচা হাতে গাড়ি চালাতে গিয়ে ঘটছে একের পর এক দূর্ঘটনা।
বেপরোয়া চালকদের হাতে জিম্মি সাধারণ যাত্রী। জীবিকার তাগিদে ঝুকিপূর্ণ এ পেশায় এসেছে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা। আর অধিক লাভের আশায় মালিকরা তাদের হাতে তুলে দিয়েছে লেগুনা।
রাজধানীতে চলাচলকারী ৮০ ভাগ লেগুনার ফিটনেস নেই। ১২টি আসন থাকলেও সেখানে গাদাগাদি করে বসানো হচ্ছে ১৪-১৬ জন। যাত্রীদের নানা অভিযোগ থাকলেও নেই সমাধান।
লেগুনাগুলোর এ অবস্থার জন্য চাঁদাবাজিকে দায়ী করছে মালিক সমিতি।
রাজধানীর ৬৮টি রুটে ৬ হাজার লেগুনা-হিউম্যান হলারের বিপরীতে প্রতিমাসে প্রায় কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়। মালিক ও চালকরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যা এ টাকার ভাগ পায়।
প্রশাসনের চোখের সামনে ঘটতে থাকা এ পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়নকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করার জন্য, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামশ সমাজকর্মী ও নগরপরিকল্পনাবিদদের।