1. প্রচ্ছদ
2. দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত কিশোরী জিসামনিকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, রকিব, খলিল ও কথিত স্বামী ইকবালের জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসঙ্গে তিন আসামির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। 

জামিন ও রিমান্ডের শুনানির নির্ধারিত তারিখ আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওসার আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত কিশোরীর কথিত স্বামী ইকবালের রিমান্ড ও জামিন না মঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ১৬৪ ধারায় দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করে নথিভুক্ত করার জন্য আদেশ দিয়েছে। কিশোরী জীবিত ফিরে আসায় মামলার আসামিদের মুক্তির দাবিতে আদালত চত্ত্বরে মানববন্ধন করেছে পরিবার ও স্বজনরা।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. রোকন উদ্দিন বলেন, আসামি আব্দুল্লাহ ও রাকিবের জামিন চেয়েছিলাম আদালত না মঞ্জুর করেছে। আমরা জজকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করবো।

এদিকে ঘটনা মিথ্যা প্রমাণ হওয়ার পরও ছেলের জামিন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশের শাস্তি দাবী করেন আব্দুল্লাহর পরিবার। মনববন্ধনে বক্তব্যকালে আসামি আব্দুল্লাহর বাবা আমজাদ বলেন, মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার সাজানো ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও আমরা ছেলেকে ফিরে পেলাম না। আমরা এ সাজানো ঘটনার জন্য দারোগা শামীম এবং ওসি’র বিচার চাই।

এদিকে, নৌকার মাঝি খলিল জেল হাজতে থাকায় তার পরিবার সন্তানদের নিয়ে অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী কিশোরী জিসামনি নিখোঁজ হলে একমাস পর ৬ আগস্ট তার বাবা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতারের পর কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২৩ আগস্ট ওই কিশোরী জীবিত উদ্ধার হলে পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দী প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এনএস/