হাওরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১০:০২ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার
বৃষ্টি না হওয়ায় হাওরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। সরকারি হিসাবে, বন্যার পানিতে পঁচে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণাসহ ৬ জেলার হাওরগুলোর প্রায় সাড়ে ৪ লাখ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। মরে গেছে কয়েক কোটি টাকার মাছ। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতাসহ বাড়ানো হয়েছে সরকারি সহায়তা।
ক’দিন পর ঘরে ওঠার কথা ছিল যে ফসল, তা পঁচে গেছে বানের পানিতে।
সরকারি হিসাবে সুনামগঞ্জ জেলার ১০ উপজেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ জন কৃষক। এই ক’দিনের বন্যায় জেলায় দেড় কোটি টাকারও বেশি মূল্যের অন্তত ৫০ টন মাছ মরে গেছে।
এই জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ কৃষকের জন্য নগদ ২২ কোটি ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ২৭ লাখ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের ১০ উপজেলায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে ৫৭ হাজার ৮শ’ ৮৭ হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯২ জন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে ইটনা, অষ্টগ্রাম ও নিকলী উপজেলায় ওএমএস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নেত্রকোণায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ৬৯ হাজার ৭১০ হেক্টর। মাছ মরেছে ১ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৮০ জন কৃষক ও ১৬ হাজার ৫শ’ ২৮ জন জেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের সহায়তায় ৫ হাজার ২৫৫ টন চাল ও সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, হবিগঞ্জে প্রায় ৭০ হাজার, সিলেটে ৬৪ হাজার ৪শ’ ৫৪, মৌলভীবাজারে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সিলেট ও মৌলভীবাজারে ৫ কোটি টাকারও বেশি মাছ মরেছে।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জিআর, ভিজিএফ ও ওএমএস কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে।
তবে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওএমএস সুবিধা নিশ্চিত করতে আরও ডিলার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে দুর্গতরা।