ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

প্যাংগংয়ে মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-চীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৭ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৩৯ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

ফের মুখোমুখি অবস্থানে চীন ও ভারতের সেনারা। কিছুদিন উত্তেজনা বন্ধ থাকার পর আবার বড় ধরনের সংঘাতের অশঙ্কা বিরাজ করছে দুই শিবিরে। সেনা সূত্রের খবর, শনিবার রাত এবং রবিবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষের পরে দু’পক্ষের আলোচনা শুরু হলেও এখনও উত্তেজনা রয়েছে প্রবল। পিপলস লিবাবেশন আর্মি বিতর্কিত এলাকায় আর্মার্ড রেজিমেন্ট মোতায়েন করায় একই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সেনাও।

বেশ কিছু এলাকায় দু’দেশের ট্যাঙ্ক বাহিনী পরস্পরের নিশানায় রয়েছে। প্যাংগং পরিস্থিতি পর্যালোচানার জন্য মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নরভণে বৈঠকে হাজির ছিলেন।

আনন্দবাজার জানায়, এই আবহে মঙ্গলবার নয়াদিল্লির চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, ‘‘চীনে সেনা সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আমরা চাই, ভারতীয় সেনা উস্কানিমূলক আচরণ বন্ধ করুক এবং বৈঠকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুক। ভারতীয় সেনা এলএসি লঙ্ঘন করার ফলেই এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।’’ অন্য দিকে, চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত বিদেশনীতি সংক্রান্ত আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করা হবে না।"

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানাচ্ছে, সোমবার চুশুলে ব্রিগেডিয়ার স্তরের বৈঠকেও চীনের তরফে সেনা পিছনোর দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন দাবি? ওই সূত্রের জবাব, ২৯ অগস্ট রাতে সমঝোতা সূত্র ভেঙে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় এলাকায় ঢুকতে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছু হটে লাল ফৌজ। সেই সুযোগে, চুশুল থেকে কয়েকটি দিকে চীন নিয়ন্ত্রিত এলাকার অন্দরে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঢুকে পড়েছে ভারতীয় সেনা। কালা টপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ‘স্ট্র্যাটেজিক পজিশন’-সহ বেশ কিছু উঁচু গিরিশিরা এখন ভারতীয় সেনার দখলে। ফলে সুবিধাজনক অবস্থান থেকে সম্ভাব্য চীনা হামলার মোকাবিলা করা সম্ভব। আর সে কারণে চিন্তা বেড়েছে চীনের।

এসি