থামছে না জেল পালানোর মতো অপরাধ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
কারা হেফাজত থেকে আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছেন সাবেক কারা কর্মকর্তারা। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ খোদ কারা কর্তৃপক্ষও। অথচ এমন নানা ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ২ ডজনেরও বেশি কর্মকর্তা, কারারক্ষী ও কয়েদির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও থামছে না জেল পালানোর মতো অপরাধ।
গত ৬ই আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে আবু বকর সিদ্দীক নামের এক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী নিঁখোজ হয়। এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। এরপর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২৯ আগস্ট মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে মাদক মামলার আসামী মিন্টু পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য হাতকড়া পরা অবস্থায় তাকে বাবুবাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে বারবার কথা বলার চেষ্টা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি কারা কর্তৃপক্ষের। যদিও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আসামী পালানো নিয়ে ফোনে দায়সারা কথা বলেন সিনিয়র জেল সুপার।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী বলেন, এটি স্বাভাবিক যে এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাকে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। আমাদের বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান জানান, দায়ীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
হেফাজত থেকে আসামী পালানোর ঘটনা একেবারেই সুখকর নয় বলে মন্তব্য করলেন সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স শামসুল হায়দার সিদ্দিকী।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স শামসুল হায়দার সিদ্দিকী জানান, হঠাৎ করেই দুটি ঘটনা খুব তাড়াতাড়ি ঘটে গেল। এটা কোন ভাল লক্ষণ নয়। বন্দি পালানোর সুযোগটা পায় কখন? সুযোগটা তখনই পায় তার সঙ্গে উপস্থিত কারারক্ষিরা যখন নিচের দায়িত্ব হলেও অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকে, তখনই এই সুযোগটা হয়। জেল পালানো একটা বড় ধরনের অপরাধ।
কারা কর্মকর্তাদের আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ারও আহ্ববান সাবেক এই ডিআইজি প্রিজন্সের।
এএইচ/এসএ/