আবরার হত্যা: অভিযোগ গঠন ৯ সেপ্টেম্বর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি মোশাররফ হোসেন কাজল ও এহসানুল হক সমাজি শুনানি শেষ করেন। এ সময় কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানিতে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, কারাগারে থাকা সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলাটি চার্জ শুনানির ধার্য রয়েছে। এই মামলাটি চাঞ্চল্যকর। দেশ ও জাতি মামলাটির দিকে তাকিয়ে আছে। দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আরেক কৌশলি এহসানুল হক সমাজি বলেন, মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করার যথেষ্ঠ উপাদান রয়েছে।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু করেন। ১৩ আসামির পক্ষেও তাদের শুনানি শেষ হয়। অপর আসামিদের পক্ষে শুনানি শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন ।
এ ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদি হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভূক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভূত ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।
গ্রেফতারকৃত ২২ জন হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভূক্ত ও শেষের জন এজাহার বহির্ভূত আসামি।
এসি