মালয়েশিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত যশোরের নাহিদ
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ১১:২২ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কোয়ান্তানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নাহিদ হাসান জিন্নাত নামের এক প্রবাসী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এ সময় তার পুরো শরীরের ৮০ শতাংশই ঝলসে যায়।
জানা গেছে, ১৭ আগস্ট প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাসায় ফিরে রাতের খাবারের আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মালয়েশিয়া প্রবাসী যশোরের বাঘারপাড়া থানার গৌরনগর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের নাহিদ হাসান জিন্নাত (২৬)। রান্না শুরুর পর পরই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে তার পুরো শরীর ঝলসে যায়।
বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের সহকর্মীরা এ সময় ছুটে আসেন। তাদের সহযোগীতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আহত জিন্নাতকে পার্শ্ববর্তী কোয়ান্তান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা জিন্নাতের জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে সব স্বপ্ন। নির্বাক, নিথর জিন্নাতের মায়াময় দৃষ্টিতে এখন শুধু বেঁচে পরিবারের কাছে ফেরার আকুতি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জিন্নাতের পুরো শরীরের ৮০ শতাংশই আগুনে ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় জিন্নাত বেঁচে আছেন, তবে তাকে পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসার।
শনিবার (২৯ আগস্ট) যশোরের এই প্রবাসীকে দেখতে কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৩'শ কিলোমিটার দূরে কোয়ান্তান হাসপাতালে ছুটে যান জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়ার সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি'র সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল।
নাজমুল ইসলাম বাবুল এই প্রতিবেদককে বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া জিন্নাত এখন আশঙ্কামুক্ত তবে সে এখনও কথা বলতে পারে না। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন, যা দেয়ার সামর্থ্য জিন্নাতের পরিবারের নেই। এ সময় তিনি মালয়েশিয়াতে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে অসহায় জিন্নাতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।
অগ্নিদগ্ধ জিন্নাতকে চিকিৎসা দেয়া ও দেশে পাঠানোর জন্য একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। আহ্বান করা হয়েছে সহযোগীতার, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে জিন্নাতকে সুস্থ করে তার পরিবারের কাছে পাঠাতে।
জিন্নাতকে সহযোগীতা করতে যোগাযোগ, নাজমুল ইসলাম বাবুল (+60 12-310 0472), ইঞ্জিনিয়ার রাহাদুজ্জামান (0162862548), ব্যাংক একাউন্ট: 64388749284, May Bank, Suzela Binte।
উল্লেখ্য, নাহিদ হাসান জিন্নাত দু'বছর আগে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে মালয়েশিয়ায় আসেন। প্রথমে কোম্পানিতে কাজ করলেও পরে পার্ট টাইম চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া থানার গৌরনগর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামে।
আরকে//